Supreme Court: ‘বিরোধী দলের ওপর হামলা মানে গণতন্ত্রের ওপর হামলা’, বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ৫ অভিযুক্তের জামিনের নির্দেশ খারিজ শীর্ষ আদালতে
Supreme Court: প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ভয়ঙ্কর অভিযোগ ওঠে। রাজ্যে বিরোধীদের বাড়িঘর জ্বালানো, ভাঙচুর, নারী নির্যাতন-সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট।

কলকাতা: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে অভিযুক্ত পাঁচ অভিযুক্তের জামিন খারিজ করল শীর্ষ আদালত। কলকাতা হাইকোর্ট ওই পাঁচ জনকে আগে জামিন দিয়েছিল। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। হাইকোর্টের রায় খারিজ করে শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, অভিযোগ যথেষ্ট গুরুতর। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, বিরোধী দলের উপর হামলা আদতে গণতন্ত্রের উপরে হামলা।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ভয়ঙ্কর অভিযোগ ওঠে। রাজ্যে বিরোধীদের বাড়িঘর জ্বালানো, ভাঙচুর, নারী নির্যাতন-সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। হাই কোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখে। কিন্তু মামলাগুলির ভিন্রাজ্যে ট্রায়াল চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় সিবিআই।
সংশ্লিষ্ট ঘটনাটি ২০২১ সালের ২ মে-র। অভিযোগকারী বিজেপি সমর্থক। তাঁর বক্তব্য ছিল, নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই তাঁর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মারধর করা হয় তাঁকে, তাঁর স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় শেখ জামির, শেখ নুরুই, শেখ আসরফ, শেখ রাহুল, জয়ন্ত ডোম ও শেখ কাবিরুল অভিযুক্ত ছিল ।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, ২০২১ সালের ২ মে, যেদিন ঘটনা ঘটেছিল, তার পরদিন অর্থা ৩ মে অভিযোগকারীর এফআইআর-ও নিতে অস্বীকার করে সংশ্লিষ্ট থাকার ওসি। নিজেদের নিরাপত্তার জন্য স্ত্রী নিয়ে ঘরছাড়া ছিলেন মামলাকারী।
এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতা সিবিআই-এর অভিযোগে মান্যতা দেন। বিরোধী রাজনীতির কারণেই এই হামলা বলে উল্লেখ করেন বিচারপতি। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এইভাবে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা আসলে গণতন্ত্রের ওপর হামলা।

