Kanimozhi: কানিমোঝির সাংসদ নির্বাচন বাতিলের আবেদন খারিজ করল দেশের শীর্ষ আদালত
Supreme Court: বৃহস্পতিবার শুনানি হয়েছে বিচারপতি অজয় রাস্তোগি এবং বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চে। সেই মামলার শুনানিতেই ‘ইলেকশন পিটিশন’ খারিজ করার কথা মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন বিচারপতি ত্রিবেদী। যদিও ওই রায়ের নথি এখন আপলোড করা হয়নি সুপ্রিম কোর্টের তরফে।
নয়াদিল্লি: ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝির সাংসদ নির্বাচিত হওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই আবেদন বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে থুতুকুড়ি কেন্দ্র জিতেছিলেন ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি। স্বামীর বিদেশে নাগরিকত্ব থাকায় কানিমোঝির সাংসদ হওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে মাদ্রাজ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন এক ব্যক্তি। মাদ্রাজ হাইকোর্ট পত্রপাট খারিজ করে দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সেই আবেদনের বৃহস্পতিবার শুনানি হয়েছে বিচারপতি অজয় রাস্তোগি এবং বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চে। সেই মামলার শুনানিতেই ‘ইলেকশন পিটিশন’ খারিজ করার কথা মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন বিচারপতি ত্রিবেদী। যদিও ওই রায়ের নথি এখন আপলোড করা হয়নি সুপ্রিম কোর্টের তরফে। কানিমোঝির স্বামীর প্যানের বিস্তারিত তথ্য নির্বাচনী নথিতে গোপন করার অভিযোগ উঠেছিল। উল্লেখ্য, তাঁর স্বামীর সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব রয়েছে।
কানিমোঝির সাংসদ হওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে মাদ্রাজ হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন এক ভোটার। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায় মাদ্রাজ হাইকোর্টে। তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা পড়ে। এই বিষয়ে মামলার শুনানি কানিমোঝির আইনজীবী আদালতে জানায়, নির্বাচনী নথিতে কানিমোঝি স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন তাঁর স্বামী সিঙ্গাপুরের নাগরিক। এবং তাঁর প্যান নম্বর নেই। তাই আবেদনকারীর বিবৃতি ভুল। নিজের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে ভুল তথ্য দিয়েছেন আবেদনকারী। তাঁর আইনজীবী সওয়ালের সময় বলেছেন, “আদালতে কী আমার দুর্বল হওয়া উচিত? কী মামলার মোকাবিলা করতে হচ্ছে? আমি তো অবাক হয়ে যাচ্ছি। আমি ৫৫ শতাংশ ভোট পেয়েছি। আমি নির্বাচনী যে তথ্য দিয়েছি, তাতে ৫৫ শতাংশ ভোটার সন্তুষ্ট। যেহেতু তাঁর স্বামী সিঙ্গাপুরের বাসিন্দা। তাই তাঁর প্যানের বিস্তারিত দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়।” নির্বাচনী ফর্ম ঠিক ভাবেই জমা দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন কানিমোঝির আইনজীবী।
কানিমোঝির আইনজীবী আরও বলেন, “কানিমোঝি স্বামীর সম্পত্তির হিসাব জানিয়েছেন। এখানে ভুল কোথায়? আপনি যদি বলেন তথ্যে ভুল রয়েছে, তা ভিন্ন মামলা। এই আবেদনের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। বিদেশি স্বামীর রোজগার জানানোর জন্য আলাদা জায়গা ছিল না।” এই সব সওয়াল জবাব শুনে আদালত বলেছে, “প্রার্থীর স্বামী প্যান কার্ড হোল্ডার নন। তিনি রিটার্ন ফাইল করেন না। তাই আয়করের কোনও প্রশ্নই নেই।” এবং কানিমোঝির সাংসদ হিসাবে নির্বাচন বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত।