PM Security Lapse: প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন! সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রার নেতৃত্বে হবে তদন্ত

PM Security Lapse: পঞ্জাবে বিক্ষোভের মুখে পড়ে একটি ব্রিজে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট আটকে ছিল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

PM Security Lapse: প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন! সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রার নেতৃত্বে হবে তদন্ত
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 12, 2022 | 12:36 PM

নয়া দিল্লি : পঞ্জাবের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আর সেই ঘটনার তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৈরি হল তদন্ত কমিটি। কী কারণে নিরাপত্তায় ঘাটতি হল, ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা এড়াতে কী করা প্রয়োজন, সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রার নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি তৈরি করা হল। যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলেছে আদালত।

সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে এই ঘটনার কোনও একতরফা তদন্ত হবে না। নিরপেক্ষ তদন্তের ওপর জোর দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এনআইএ-র ডিজি, পঞ্জাব পুলিশের এডিজি ও পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল থাকবেন এই তদন্ত কমিটিতে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা, বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।

কী ঘটেছিল পঞ্জাবে

৫ জানুয়ারি সকালে পঞ্জাবের ভাটিন্ডায় অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিমান। হুসেনিওয়ালাতে জাতীয় শহীদ স্মৃতি সৌধে যাওয়ার কথা ছিল নরেন্দ্র মোদীর। সেনা হেলিকপ্টারে সেখানে যাওয়ার কথা ছিল মোদীথ কিন্তু খারাপ আবহাওয়া থাকার কারণে দৃশ্যমানতা না থাকায় সড়ক পথেই হুসেনিওয়ালার দিকে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কনভয় যখন একটি ব্রিজের উপর পৌঁছয়, তখন দেখা যায় বেশ কয়েকজন আন্দোলনরত কৃষক রাস্তা অবরোধ করে।

বাধা পেয়ে ব্রিজেই দাঁড়িয়ে পড়ে নরেন্দ্র মোদীর কনভয়। পরে নিজের কর্মসূচি বাতিল করে আবার ভাটিন্ডা বিমানবন্দরে ফিরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ঘটনার পর বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষতি করা উদ্দেশ্যেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও বিবৃতি জারি করে জানিয়েছিল, ব্রিজে বিক্ষোভ সরিয়ে দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ ছিল না। পঞ্জাব সরকারকে প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি সম্পর্কে আগেভাগে যাবতীয় তথ্য দেওয়া হলেও তাঁরা কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ ওঠে।

ঘটনার পরই হস্তক্ষেপ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

ঘটনার পরই হস্তক্ষেপ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। পঞ্জাবের মুখ্যসচিব অনিরুদ্ধ তিওয়ারি ঘটনাক্রমের বিশদ বিবরণ দিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দেন অমিত শাহের মন্ত্রকে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাজ্যের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়।পরে প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের বিশেষ কমিটিও গঠন করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তিন সদস্যের এই কমিটিতে রাখা হয়, ক্যাবিনেট দফতরের নিরাপত্তা সচিব সুধীর কুমার সাক্সেনা, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর যুগ্ম অধিকর্তা বলবীর সিং এবং স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপের আইজি এস. সুরেশকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়, যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত করে রিপোর্ট জমা করতে।

আরও পড়ুন : Uttarpradesh Election 2022: দলবদলের নাটক চরমে! মেয়ের অপহরণের অভিযোগ উড়িয়ে বিধায়ক বললেন ‘দল ছাড়ছিই’