Supreme Court: স্কুলের সিলেবাসে ধর্ষণ-বিরোধী আইনের পাঠ? আরজি কর-কাণ্ডের আবহে কেন্দ্রকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের

Supreme Court: সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় যে ধর্ষণ-বিরোধী বিল পাশ হয়েছে সে কথাও শীর্ষ আদালতে উল্লেখ করেছেন আইনজীবী, সেখানে ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের কথা বলা হয়েছে। এমন আইন তৈরি হলেও সমস্যা সমাধান হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

Supreme Court: স্কুলের সিলেবাসে ধর্ষণ-বিরোধী আইনের পাঠ? আরজি কর-কাণ্ডের আবহে কেন্দ্রকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের
সুপ্রিম কোর্টImage Credit source: GFX- TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Sep 14, 2024 | 7:55 PM

নয়া দিল্লি: আরজি কর কাণ্ডের আবহে সুপ্রিম কোর্টে উঠল বিশেষ আবেদন। সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনা নতুন কিছু নয়। অভিযোগ উঠেছে বারবার। তবে আরজি করে এক তরুণী চিকিৎসককে যেভাবে ধর্ষণ ও খুন করার অভিযোগ উঠেছে, তাতে তোলপাড় গোটা দেশ। সেই পরিস্থিতিতেই ধর্ষণ নিয়ে সচেতনতার প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন এক আইনজীবী। সেই জনস্বার্থ মামলায় শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস দিয়েছে।

সিনিয়র আইনজীবী আবাদ হর্ষদ পন্ডা সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন। তিনি জানান, কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়ার ডাক্তারের মৃত্যুর ঘটনার পরই তিনি আবেদন করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, রাজ্য যখন ধর্ষণের আইন প্রণয়ন করছে, তখন সমাজে এই বিষয়ে সচেতনতাই তৈরি হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি মনোজ মিশ্র ও বিচারপতি জে বি পর্দিওয়ালার বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি।

শুক্রবার ছিল সেই মামলার শুনানি। আইনজীবী আবাদ হর্ষদ পন্ডা ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সারা দেশে যা চলছে, তাতে দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ অর্থাৎ মহিলারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। আইনজীবী মনে করেন, এই পরিস্থিতি ধর্ষণ-বিরোধী আইন সম্পর্কে সবার ওয়াকিবহাল থাকা প্রয়োজন। তাঁর মতে, দেশের বহু মানুষ এখনও

এই মামলায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ কেন্দ্রকে একটি নোটিস ইস্যু করেছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা একটি নোটিস ইস্যু করব।’ পকসো আইন নিয়েও একটি গাইডলাইন দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় যে ধর্ষণ-বিরোধী বিল পাশ হয়েছে সে কথাও শীর্ষ আদালতে উল্লেখ করেছেন আইনজীবী, সেখানে ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের কথা বলা হয়েছে। এমন আইন তৈরি হলেও সমস্যা সমাধান হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

জনস্বার্থ মামলায় আবেদন করা হয়েছে, স্কুলগুলিকে যাতে নির্দেশ দেওয়া হয় এই আইনগুলিকে পাঠ্যবইয়ের অন্তর্ভুক্ত করতে। সেক্স এডুকেশন, ধর্ষণ-বিরোধী আইন ও পকসো আইন সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই আবেদনে। আরও আবেদন করা হয়েছে, পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে মহিলাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে হবে, মেয়ে হিসেবে কীভাবে সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে হয়, তা বোঝাতে হবে। পাশাপাশি, স্কুলস্তর থেকেই ছেলেদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে বলেও উল্লেখ করেছেন আইনজীবী।

শুধু পাঠ্যক্রম নয়, আইনজীবীর দাবি, সেমিনার করে, বিজ্ঞাপন করে আইন সম্পর্কে মহিলা, পুরুষদের সচেতন করতে হবে।