Hamare Baarah: ‘ট্রেলরই যদি এমন হয়…’, বিতর্কিত ‘হামারে বারাহ’-র মুক্তি আটকাল সুপ্রিম কোর্ট

Hamare Baarah: ১৪ জুন, অর্থাৎ, আগামীকালই এই বিতর্কিত সিনেমার মুক্তির কথা ছিল। কিন্তু, এদিন বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার এক অবকাশকালীন বেঞ্চ এই চলচ্চিত্রটির মুক্তি স্থগিত করে দিল। বেঞ্চ বলেছে, সিনেমাটির টিজার দেখে তাদের 'আপত্তিকর' বলে মনে হয়েছে।

Hamare Baarah: 'ট্রেলরই যদি এমন হয়...', বিতর্কিত 'হামারে বারাহ'-র মুক্তি আটকাল সুপ্রিম কোর্ট
হামারে বারাহ-র মুক্তিতে স্থগিতাদেশ শীর্ষ আদালতের Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Jun 13, 2024 | 4:29 PM

নয়া দিল্লি: ট্রেলারই আপত্তিকর সংলাপে ভরা। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) অন্নু কাপুর অভিনিত সিনেমা, “হামারে বারাহ” সম্পর্কে এমনই মন্তব্য করল সুপ্রি কোর্ট। ১৪ জুন, অর্থাৎ, আগামীকালই এই বিতর্কিত সিনেমার মুক্তির কথা ছিল। কিন্তু, এদিন বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার এক অবকাশকালীন বেঞ্চ এই চলচ্চিত্রটির মুক্তি স্থগিত করে দিল। বেঞ্চ বলেছে, সিনেমাটির টিজার দেখে তাদের ‘আপত্তিকর’ বলে মনে হয়েছে। শীর্ষ আদালত আরও বলেছে, এই সিনেমাটি ইসলাম ধর্মের, বিশেষ করে বিবাহিত মুসলিম মহিলাদের জন্য অবমাননাকর। প্রসঙ্গত, কর্নাটকে ইতিমধ্য়েই সিনেমাটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে, “হামারে বারাহ” ছবিটির মুক্তি স্থগিত করার জন্য বম্বে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন আজহার বাশা তাম্বোলি নামে এক ব্যক্তি। হাইকোর্ট অবশ্য ছবিটির মুক্তি মঞ্জুর করেছিল। উচ্চ আদালতের এই রায়কে শীর্, আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। সেই আবেদনেরই শুনানি ছিল এদিন। শীর্ষ আদাবতের অবকাশকালীন বেঞ্চ, আজহার বাশা তাম্বোলির দায়ের করা আবেদনের বিষয়ে বম্বে হাইকোর্টকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে। বম্বে হাইকোর্টে এই আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত, ছবিটি দেখানো যাবে না বলে জানিয়েছে বেঞ্চ।

‘হামারে বারাহ’ ছবিটি ভারতের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সমস্যাকে কেন্দ্র করে তৈরি। তবে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য এই সিনেমায় দায়ী করা হয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়কে। ছবিটির পোস্টার এবং ট্রেলরে তা স্পষ্ট। তাই, ছবিটি মুক্তির আগেই এই সিনেমা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এদিন আদালতে, আজহার বাশা তাম্বোলির পক্ষের আইনজীবী জানান, এক “অযৌক্তিক আদেশ” দিয়ে সিনেমাটির মুক্তির উপর স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। তিনি আরও জানিয়েছেন, সিবিএফসি, অর্থাৎ ফিল্ম সার্টিফিকেশন বোর্ডকে এই সিনেমাটির মূল্যায়নের জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। কিন্তু, তারা এটা করতে পারে না। কারণ, এই মামলায় সিবিএফসিই-ও একটি আগ্রহী পক্ষ।

অন্যদিকে, সিনেমাটির নির্মাতাদের পক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, সিনেমাটির টিজার থেকে সব আপত্তিকর দৃশ্য মুছে ফেলা হয়েছে। সেই দাবি নাকচ করে শীর্ষ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চ বলে, “আমরা আজ সকালে সিনেমার টিজারটি দেখেছি। সমস্ত দৃশ্য সেখানে রয়েছে।” নির্মাতাদের পক্ষের আইনজীবী জানান, এই স্থগিতাদেশের কারণে নির্মাতাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। শীর্ষ আদালত বলে, “যদি টিজারটিই এত আপত্তিকর হয়, তবে পুরো সিনেমাটা কী হবে! প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে আপনারা হারছেন, কারণ, আপনারা নিজেরাই টিজার থেকে দৃশ্যগুলি মুছে ফেলছেন।”