নয়া দিল্লি: সরকারের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করাকে দেশদ্রোহিতা (Sedition) বলা যায় না, বুধবার এ কথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ২০১৯ সালে সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্ত করার পর সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন সাংসদ ফারুক আবদুল্লা(Farooq Abdullah)। তাঁর মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই আবদুল্লার বিরুদ্ধে চিন (China) ও পাকিস্তান(Pakistan)-র কাছ থেকে সাহায্য চাওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল। এদিন তাঁর বিরুদ্ধে করা সেই মামলা খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।
২০১৯ সালের ৫ অগস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্ত করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়েছিল কেন্দ্র, এমনটাই অভিযোগ ছিল উপত্যকাবাসীদের। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে ন্যাশনাল কনফারেন্স পার্টি(National conference Party)-র নেতা ফারুক আবদুল্লা বলেছিলেন, “৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্ত করার বিষয়টি চিন ভালভাবে গ্রহণ করেনি। লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় যা হচ্ছে, তার পিছনে আসল কারণ হল ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্ত করাই। তাঁদের সহযোগিতায় জম্মু-কাশ্মীরে ফের ৩৭০ অনুচ্ছেদ জারি করা হবে বলেই আশা করছি।”
আরও পড়ুন: আপের ঝাঁটায় সাফ পদ্ম, পুর-নির্বাচনেও কেজরীতে ভরসা দিল্লিবাসীর
এরপরই আবদুল্লার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়। সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগকারী জানান, জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্ত করার পর ফারুক আবদুল্লা চিন ও পাকিস্তানের কাছ থেকে সাহায্য প্রার্থনা করেছিল।
এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল ও বিচারপতি হিমন্ত গুপ্তের বেঞ্চ জানায়, যদি সরকারের কোনও সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে কেউ ভিন্নমত পোষণ বা পরিবেশন করে, তবে তাঁকে দেশদ্রোহী বলে আখ্যা দেওয়া যায় না।
আজ মামলা খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট এবং ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় অভিযোগকারীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রেমে প্রত্যাখ্যান, ইঞ্জিনিয়ার তরুণীর পেটে-বুকে ছুরি মেরে গ্রেফতার শাহরুখ