নয়া দিল্লি: প্রতিবাদ ও ভিন্নমত প্রকাশের অধিকারের সঙ্গে কিছু কর্তব্যও জড়িয়ে থাকে এবং যেকোনও সময় ও যেকোনও জায়গায় তা প্রদর্শন করা যায় না,শাহিনবাগ মামলায় এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্টের। ২০১৯ সালে নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির শাহিনবাগে যে আন্দোলন হয়েছিল, তাকে বেআইনি বলে আখ্যা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছিলেন ১২জন সমাজকর্মী। গতকাল সেই মামলার শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণ জানাল।
‘সুপ্রিম’ রায়ের বিরুদ্ধে জমা পড়া রিভিউ পিটিশনটি খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি এস কে কউল, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারির বেঞ্চ জানায়, যেকোনও জায়গায় ও যেকোনও সময়ে প্রতিবাদ প্রদর্শন করা যায় না। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ হতে পারে, কিন্তু দীর্ঘকালীন প্রতিবাদ বা আন্দোলনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের অধিকারকে প্রভাবিত করে জনগণের জায়গা দখল করে প্রতিবাদ চালানো যায় না।
গতকালের রায়ে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, এমন কোনও জায়গা দখল করে প্রতিবাদ করা যায় না, যার ফলে সাধারণ মানুষের যাতায়াত বা অন্য কোনও কাজে বাধা সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদ একটি নির্দিষ্ট স্থানেই সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: কুস্তির আখড়ায় হামলা বন্দুকবাজের, মৃত ৫
কেন্দ্রের তরফে নয়া নাগরিকত্ব আইনের ঘোষণা করা হলেই সাধারণ মানুষের একাংশের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানী দিল্লি। ২০১৯ সালে দিল্লির শাহিনবাগে যে আন্দোলন শুরু হয়, তা দীর্ঘ তিনমাস ধরে চলে। এই আন্দোলনে বহু মহিলা ও শিশুরাও যোগ দিয়েছিলেন। সমগ্র বিশ্বের নজরে এসেছিল এই শাহিনবাগের আন্দোলন।
গত অক্টোবরেই শাহিনবাগ আন্দোলনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছিল, “গণতন্ত্র ও ভিন্নমত একে অপরের সঙ্গেই হাত মিলিয়ে চলে।” সেই সময়ও শাহিনবাগের আন্দোলনের সমালোচনা করে বলা হয়েছিল, “এই ধরনের আন্দোলন গ্রহণযোগ্য নয়।” এরপর এদিনের সুপ্রিম রায়ে বলা হল, যেখানে সেখানে, যখন তখন প্রতিবাদ প্রদর্শন চলতে পারে না।
আরও পড়ুন: পিকের বাড়িতে চলল বুলডোজার, মুহূর্তে গুঁড়িয়ে গেল বাড়ির দেওয়াল