AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘সিবিআই দফতরে মুখ্যমন্ত্রীর ধরনা সমর্থনযোগ্য নয়’, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

তবে তিনি ধরনায় বসেছেন বলে চার অভিযুক্ত জামিন পেতে পারবেন না, সিবিআই-এর এহেন যুক্তিও উড়িয়ে দেয় আদালত।

'সিবিআই দফতরে মুখ্যমন্ত্রীর ধরনা সমর্থনযোগ্য নয়', পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
গ্রাফিক্স- অভীক দেবনাথ
| Updated on: May 25, 2021 | 6:01 PM
Share

নয়া দিল্লি: নারদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কিছুটা হলেও হতাশ হতে হয়েছে সিবিআই-কে। গৃহবন্দি থাকা চার নেতাকে জামিনে মুক্ত করে দেওয়ার ‘জুজু’ দেখাতেই মামলা প্রত্যাহার করে পুনরায় হাইকোর্টে ফিরে আসতে হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। তবে নিজাম প্যালেসে মুখ্যমন্ত্রীর ধরনায় বসার ঘটনার নিন্দা জানানো হয়ে এ দিন সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে। এই ধরনের আচরণ কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়, পর্যবেক্ষণে জানায় হাইকোর্ট। তবে তিনি ধরনায় বসেছেন বলে চার অভিযুক্ত জামিন পেতে পারবেন না, সিবিআই-এর এহেন যুক্তিও উড়িয়ে দেয় আদালত।

গত ১৭ মে নারদকাণ্ডে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। কিছুক্ষণের মধ্যে সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে পৌঁছে ধরনায় বসে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘আমাকেও গ্রেফতার করতে হবে।’ টানা ৬ ঘণ্টা অবস্থানের পর বেরিয়ে নবান্নে যান তিনি। অন্যদিকে, যতক্ষণ তিনি সেখানে বসেছিলেন, নিজাম প্যালেসে বাইরে সেই সময় তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর। যদিও এরপর সেদিন বিকেলেই নিম্ন আদালতে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়ে যান চার অভিযুক্ত। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ধরনা এবং অন্যান্য পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে জামিনের নির্দেশে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করে।

আরও পড়ুন: জামিনের জুজু দেখাতেই সুপ্রিম কোর্ট থেকে নারদ মামলা প্রত্যাহার করল সিবিআই

সেই মামলাটি এ দিন সুপ্রিম কোর্টে উঠলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা, আদালতে আইনমন্ত্রীর উপস্থিতির বিষয়গুলির উপর বারবার জোর দেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি মামলাটি অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানান। জবাবে বিচারপতি সরণ এবং বিচারপতি গাভাইয়ের বেঞ্চ বলে, “একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিতে চাই আমরা ধরনার বিপক্ষে। কিন্তু যদি মুখ্যমন্ত্রী বা আইনমন্ত্রী নিজের হাতে আইন তুলে নেন, তার জন্য অন্যান্য অভিযুক্তদের ভোগান্তি হবে কেন?” যারা আইন নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক, পর্যবেক্ষণে এমনটাই বলতে শোনা যায় শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের।

আরও পড়ুন: ‘গোদের ওপর বিষফোঁড়া এই ভরা কোটাল’, রাতভর পাহারা দেবেন বলে আশ্বাস মমতার