‘গোদের ওপর বিষফোঁড়া এই ভরা কোটাল’, রাতভর পাহারা দেবেন বলে আশ্বাস মমতার
সাইক্লোনের (Cyclone) পরিস্থিতি সামাল দিতে সরাসরি কাজ করবেন ৭৪ হাজার অফিসার। ব্লক স্তরে পর্যবেক্ষণের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানালেন মমতা (Mamata Banerjee)।
কলকাতা: ‘আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন। আমরা সারারাত পাহারা দেব।’ ইয়াস আছড়ে পড়ার আগে রাজ্যবাসীকে এমনটাই আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্লক স্তরে পর্যবেক্ষণ হবে বলে জানালেন তিনি। তবে পূর্ণিমায় ভরা কোটাল থাকায় সমুদ্র বেশি উত্তাল হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ৯ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মমতা।
নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ব্লক ও জেলা স্তরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার কাজ চলছে। প্রতি মুহূর্তে সব জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবেরা। মমতা নিজেও একাধিক জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান।
তবে ভরা পূর্ণিমায় গঙ্গায় আরও বেশি প্লাবনের আশঙ্কা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গঙ্গায় জল বেড়ে যাওয়াটাই আমার কাছে চিন্তার।’ শহরের প্রতিটি এলাকায় অতীন ঘোষ, দেবাশীষ কুমার-সহ অনেককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি, যাতে যে কোনও সমস্যায় পড়লে কেউ ছুটে যেতে পারে ওই এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, পুরো ব্যবস্থাপনায় নিযুক্ত রয়েছেন ৭৪ হাজার কর্মী ও অফিসার। এছাড়া পুলিশ, আর্মি, নেভি মিলিয়ে ৩ লক্ষ কর্মী সরাসরি সাইক্লোন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কাজে যুক্ত থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সব শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা আজ, কাল সারা রাত পাহারা দেব। পাহারা পরেও দেওয়া হবে। তবে আপাতত ৪৮ ঘণ্টা পাহারা চলবে।
আরও পড়ুন: স্থিতিশীল বুদ্ধবাবু, কোভিডের কারণেই বাড়াবাড়ি বলছে উডল্যান্ডস কর্তৃপক্ষ
আজ, মঙ্গলবার সকালে প্রথমে নবান্নে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সেখান থেকে পৌঁছন উপান্নে। নবান্ন-উপান্ন একেবারে পাশাপাশি দু’টি ভবন। নবান্ন ১৪ তলা, উপান্ন ৪ তলা। এই উপান্নে ২৪ ঘণ্টার জন্য কনট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর ১০৭০। দু’দিন এখান থেকেই যাবতীয় ব্যবস্থাপনার নজরদারি করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাত জেগে পরিস্থিতি নজরে রাখবেন তিনি।