Lok Sabha speaker: লোকসভার অধ্যক্ষ কে? বাড়ছে সাসপেন্স, শিকে ছিঁড়বে এই বিজেপি নেত্রীর?
Lok Sabha speaker: রবিবার (৯ জুন), প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং আরও ৭১ জন মন্ত্রীও শপথ গ্রহণ করেছেন। আপাত দৃষ্টিতে এনডিএ সরকারের পথ চলাটা অত্যন্ত মসৃণভাবে হয়েছে। তবে, এখনও থেকে গিয়েছে একটা খচখচানি। লোকসভার অধ্যক্ষ কে হবেন?

নয়া দিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর, এনডিএ জোট সরকার গড়তে পারবে কিনা, সেই প্রশ্ন তুলেছিল ইন্ডিয়া জোট। এনডিএ-র জোট শরিকদের ভাঙানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, ফল প্রকাশের চারদিনের মাথাতেই, রবিবার (৯ জুন), প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং আরও ৭১ জন মন্ত্রীও শপথ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে ৩০ জন পূর্ণ মন্ত্রী, ৫ জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ৩৬ জন রাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন। সোমবার বিকেলেই নবগঠিত মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক। সেই বৈঠকেই মন্ত্রক বন্টনও হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আপাত দৃষ্টিতে এনডিএ সরকারের পথ চলাটা অত্যন্ত মসৃণভাবে হয়েছে। তবে, এখনও থেকে গিয়েছে একটা খচখচানি। লোকসভার অধ্যক্ষ কে হবেন?
সূত্রের খবর, এই পদটির দিকে নজর রয়েছে এবারের নির্বাচনের ‘কিংমেকার’-এ পরিণত হওয়া চন্দ্রবাবু নাইডু এবং নীতীশ কুমার দুজনেরই। এনডিএ সরকারের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ শরিকই এই পদটি চাইছেন রক্ষাকবচ হিসেবে। কীসের রক্ষাকবচ? দল না ভাঙার। গত কয়েক বছরে দল ভাঙা, সাংসদ ভাঙিয়ে নিয়ে আসা ভারতীয় রাজনীতিতে সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয় মোদী সরকারের সময়ই, বিজেপির তাঁর দল ভাঙার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন নীতীশ কুমার। এবার ঝুঁকি আরও বেশি। কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এনডিএ সরকার গঠন করলেও, কয়েকজন সাংসদ এদিক-ওদিক হলেই সরকার বদলে যেতে পারে। দল ভাঙার সময় দলত্যাগ বিরোধী আইনে সাংসদদের অযোগ্য ঘোষণা করার ক্ষমতা থাকে অধ্যক্ষেরই হাতে। ফলে, এই পদটি হাতে থাকলে, দল ভাঙার ঝুঁকি কম থাকবে বলে মনে করছেন এই দুই প্রবীণ নেতা।
তবে, বিজেপি সূত্রে খবর, এই গুরুত্বপূর্ণ পদটি হতছাড়া করতে নারাজ বিজেপিও। ওম বিড়লা-সহ অনেক নামই আলোচনায় রয়েছে। তবে, ওম বিড়লাকে সম্ভবত আর এই পদে রাখা হবে না। তাঁর বদলে শোনা যাচ্ছে দগ্গুবতী পুরন্দেশ্বরীর নাম। তেলেগু দেশম পার্টির প্রতিষ্ঠাতা, এনটি রামা রাও-এর মেয়ে। বর্তমানে তিনি অন্ধ্র প্রদেশ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এর আগে তিনি মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এবং বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের দায়িত্বও সামলেছেন। রবিবার, তৃতীয় মোদী মন্ত্রিসভায় তাঁকে জায়গা দেওয়া হয়নি। মনে করা হচ্ছে, তাঁকে অধ্যক্ষের পদ দেওয়ার জন্যই মন্ত্রিসভার বাইরে রাখা হয়েছে।
