চেন্নাই : গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টিতে (Heavy Rain) বিপর্যস্ত তামিলনাড়ু (Tamilnadu)। পাশাপাশি বাঁধের জল ছাড়া শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। চেন্নাইয়ের বিস্তীর্ণ অংশ জলের তলায়। শহরবাসীকে সুরক্ষা দিতে মোতায়েন করা হয়েছে অন্তত ৭৫ হাজার পুলিশ। গত কয়েদিনে বৃষ্টির কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪। তবে এরই মধ্যে আশার খবর শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতর। অবশেষে সরে গিয়েছে নিম্নচাপ। জল বের করার কাজ চলছে দ্রুততার সঙ্গে। রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ সরানোর কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়।
বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল চেন্নাই বিমানবন্দরে। কার্যত নদীর চেহারা নিয়েছিল হস্তিনাপুরনম এলাকা। তিন ফুট পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে জলস্তর। প্রবল বৃষ্টিতে ট্রেন পরিষেবাও ব্যহত হয়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল।
আবহাওয়া দফতরের পূর্ভাবাস অনুযায়ী, শুধু তামিলনাড়ুতে নয়, সংলগ্ন অন্ধ্রপ্রদেশেও প্রভাব পড়বে বলে জানা গিয়েছে। নভেম্বর মাসে এত বৃষ্টি হতে দেখা যায়না সাধারণত। তাই এই ছবি দেখে কিছুটা অবাকই হচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। প্রবল বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি রাজ্য জুড়ে। জানা গিয়েছে, প্রবল বৃষ্টি এবং বন্যার কারণে এখনও পর্যন্ত ১৫৭টি গৃহপালিত পশুর মৃত্যু হয়েছে। শুধু তাই নয়, ১,১৪৬টি ছোট বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এছাড়াও দুই শতাধিক বড় বাড়িও ভেঙে পড়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, বৃষ্টির পরিমাণ কমলে গেটা রাজ্যেই ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করা হবে।
মূলত রাজ্য়ের উত্তরের জেলাগুলি যেমন, চেন্নাই, চেঙ্গালপেট, তিরুভাল্লুর, কাঞ্চিপুরম ও ভিল্লুপুরমে একটানা লাগাতার বৃষ্টির কারণে কার্যত বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আপাতত রাজ্যবাসীকে ঘরে থাকার অনুরোধই জানিয়েছেন রাজ্যের ডিজিপি। মঙ্গলবার রাতেই তিনি একটি ভিডিয়ো বার্তা পোস্ট করে এই সময়ে কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়, তা নিয়ে সাধারণের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন।
আরও পড়ুন : Salman Khurshid New book: ‘উগ্র হিন্দুত্ব আইএসের মতোই’! খুরশিদের বক্তব্যের বিরোধিতা খোদ কংগ্রেসের অন্দরেই