পাশের রাজ্যে বন্ধুর বাড়ি, মাংস আনতে গিয়ে চলল গুলি! ফের উত্তপ্ত অসম-মিজেরাম সীমানা

গত ২৬ জুলাই অসম-মিজোরাম সীমানাবর্তী গ্রামের আটটি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয় দুই রাজ্যের।

পাশের রাজ্যে বন্ধুর বাড়ি, মাংস আনতে গিয়ে চলল গুলি! ফের উত্তপ্ত অসম-মিজেরাম সীমানা
যদি সুমন বালা সাহুর নাম বেছে নেওয়া হয়। তবে তিনিই হবেন পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মহিলা আইপিএস। ১৯৮৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ ব্যাচের আইপিএস ক্যাডার তিনি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 18, 2021 | 8:46 AM

আইজল: ফের উত্তপ্ত অসম-মিজোরাম সীমানা (Assam Mizoram Border)। এ বার অসম পুলিশের বিরুদ্ধে উঠল গুলি চালানোর অভিযোগ। মিজোরাম প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৬ জুলাই অসম-মিজোরাম সীমানার যে জায়গায় সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল, সেখানেই ফের মিজোরামবাসীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে অসম পুলিশ। ঘটনায় আহত হয়েছেন একজন।

কোলাশিব জেলার ডেপুটি কমিশনার এইচ লালথাঙ্গলিয়ানা জানান, অসমের হাইলাকান্জির আইতলাং এলাকায় সোমবার রাত দুটো নাগাদ গোলাগুলি শুরু হয়। মিজোরামের ভাইরেঙ্গতে শহরের তিন বাসিন্দা অসমের বিলাইপুরে বসবাসকারী এক বন্দুর বাড়ি থেকে মাংস আনতে গিয়েছিল। সেই সময়ই তাদের অনুপ্রবেশকারী বলে মারধর শুরু করা হয়। এরপরই অসম পুলিশের এক কর্মী ওই ব্যক্তিদ্র লক্ষ্য করে গুলি চালান। ঘটনায় আহত হন এক ব্যক্তি।

গত ২৬ জুলাই অসম-মিজোরাম সীমানাবর্তী গ্রামের আটটি বাড়ি পুড়িয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপরই সোমবার সকাল থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুই রাজ্য়ের বাসিন্দারাই একে অপরকে দোষারোপ করতে শুরু করে। দফায় দফায় দুই রাজ্যের বাসিন্দা ও পরে পুলিশদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ৬ ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে অসম পুলিশের ৬ কর্মীর মৃত্যু হয়। পরেরদিন আরও এক স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা ৭-এ পৌঁছয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ কর্মী মিলিয়ে আহতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে যায়।

এই ঘটনার পরই দুই রাজ্য়ের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা চরমে পৌঁছয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় দুই রাজ্যের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী রাস্তা ও সীমানা। সংঘর্ষে ইন্ধন দেওয়ার জন্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নামে এফআইআর দায়ের করে মিজোরাম পুলিশ। পাল্টা জবাবে অসম প্রশাসনের তরফেও মিজোরামের সাংসদ সহ একাধিক আধিকারিকের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়। পরে বাধ্য হয়ে হস্তক্ষেপ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা দুই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব ও পুলিশ আধিরারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সংঘর্ষস্থলে কোনও রাজ্যের পুলিশ নয়, বরং কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে।

পরে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে বার্তালাপেও পরিস্থিতি বেশ কিছুটা স্বাভাবিক হয়। এফআইআর তুলে নেওয়া হয় দুই পক্ষের তরফেই। খুলে দেওয়া হয় সীমানাও। মিজোরাম যাত্রায় যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল, তা তুলে নেওয়া হয়। আরও পড়ুুন: আফগান পরিস্থিতিতে নজর ভারতের, সুযোগের সদব্যবহার করেই গতিবিধি বাড়ানোর ছক জঙ্গিদের!