Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mahua Moitra: ‘সরকার কি ঘুরপথে নির্বাচনী বন্ড ফেরাতে চাইছে?’, নতুন বিলের ধারা তুলে প্রশ্ন মহুয়ার

Mahua Moitra: সরকার ঘুরপথে নতুন করে সেই বিতর্কিত বন্ড নিয়ে আসতে চাইছে কিনা বলে সংসদে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সোমবার লোকসভায় অর্থবিল নিয়ে আলোচনার সময়েই কেন্দ্রের দিকে ফের 'নির্বাচনী বন্ডের' তির ছু়ড়লেন তিনি।

Mahua Moitra: 'সরকার কি ঘুরপথে নির্বাচনী বন্ড ফেরাতে চাইছে?', নতুন বিলের ধারা তুলে প্রশ্ন মহুয়ার
মহুয়া মৈত্রImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Mar 25, 2025 | 12:53 PM

নয়াদিল্লি: নির্বাচনী বন্ড নিয়ে বিতর্ক কম নয়। সুপ্রিম কোর্ট সেই প্রথার ঘাড়ে খাঁড়া ফেললেও, সরকার ঘুরপথে নতুন করে সেই বিতর্কিত বন্ড নিয়ে আসতে চাইছে কিনা বলে সংসদে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সোমবার লোকসভায় অর্থবিল নিয়ে আলোচনার সময়েই কেন্দ্রের দিকে ফের ‘নির্বাচনী বন্ডের’ তির ছু়ড়লেন তিনি।

কী অভিযোগ মহুয়ার?

নতুন অর্থবিল আলোচনায় মহুয়া প্রশ্ন তোলেন, ‘নতুন আয়কর আইনে যে ধারাগুলির কথা উল্লেখ রয়েছে, সেই একই ধারা নির্বাচনী বন্ডেও উল্লেখ ছিল।’ এরপরই মহুয়া প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘যা খুব সহজ ভাবে স্পষ্ট করে শাসকদল হয়তো পিছনের দরজা দিয়ে তাদের পছন্দের নির্বাচনী বন্ড পদ্ধতিকে আবার ঢোকাতে চাইছে।’

এরপরই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কীভাবে ‘লাভের গুড়’ খেয়েছে বিজেপি, সেই নিয়েও একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, ‘লোকসানে চলা সংস্থাগুলি মোট ৪৩৪ কোটি টাকা দিয়েছে বিজেপিকে। তদন্তাধীন ৪১টি সংস্থা পদ্ম শিবিরকে আড়াই হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। আরও ৩০টি এমন সংস্থা যারা ইতিমধ্যে যারা তদন্তের আওতায় রয়েছে, তারা বিজেপিকে ৩৩৫ কোটি টাকা দিয়েছে।’ পাশাপাশি, ইডি ও সিবিআইয়ের মতো সংস্থা যেন টাকা তোলার সংস্থায় না পরিণত হয়, অর্থমন্ত্রীর কাছে সেই আর্জিও রাখতে দেখা যায় মহুয়াকে।

প্রসঙ্গত, গত বছরই নির্বাচনী বন্ড পদ্ধতিকে বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই বন্ড প্রক্রিয়া বাতিলের পরেই কোন দল কত টাকা পেয়েছে, সেই নিয়ে স্টেট ব্যাঙ্ককে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল তারা। সেই রিপোর্টে দেখা গিয়েছিল, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি অর্থসাহায্য পাওয়ার তালিকায় বিজেপির পরেই নাম রয়েছে তৃণমূলের। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮ সালের মার্চ মাস থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা নির্বাচনী বন্ড হয়ে পেয়েছে তৃণমূল।