TMC-Congress: এক টেবিলে বসে সোনিয়ার সঙ্গে কফি খেলেন ডেরেক, কী আলোচনা হল পার্লামেন্টে
TMC-Congress: বুধবার রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের চরম বিতর্ক চলে। তৃণমূল সাংসদ যে ভাষা ব্যবহার করেছিলেন, তার বিরোধিতায় সরব হন বিজেপি সাংসদরা।

নয়া দিল্লি: বুধবারই রাহুল গান্ধী বাংলার প্রদেশ নেতৃত্বের সামনে অবস্থান স্পষ্ট করে দেন। জানিয়ে দেন, জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলকে পাশে নিয়েই চলতে হবে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইতে বিরোধী দলগুলিকে পাশে নেওয়ার কথা বলেছিলেন সাংসদ। এরপরই আজ, বৃহস্পতিবারই কংগ্রেস সাংসদ সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে এক টেবিলে বসে কফি খেলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের ঘরে চলছিল বৈঠক।
বুধবার রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের চরম বিতর্ক চলে। তৃণমূল সাংসদ যে ভাষা ব্যবহার করেছিলেন, তার বিরোধিতায় সরব হন বিজেপি সাংসদরা। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সেই বিষয়েই খোঁজ নেন সোনিয়া গান্ধী। তাঁকে এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে সবটা বলেন রজনী পাতিল এবং প্রমোদ তিওয়ারি। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন ডেরেক। তবে তাঁদের মধ্যে আর কী আলোচনা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
বুধবার পশ্চিমবঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেখানে তিনি বুঝিয়ে দেন, রাজ্যে বিরোধ থাকলেও কেন্দ্রে বিজেপি বিরোধিতায় তৃণমূলকে পাশে নিয়ে চলতে হবে।
প্রসঙ্গত, ডিলিমিটেশন নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে এদিন ডিএমকে সাংসদরা টি শার্ট পরে অধিবেশন কক্ষে যান। আসায় বারবার মুলতবি হচ্ছিল রাজ্যসভা। পরিস্থিতি সামাল দিতে নিজের কক্ষে বৈঠক ডাকেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। কংগ্রেস এবং ডিএমকে সিদ্ধান্ত নেন তাদের ফ্লোর লিডাররা বৈঠকে অংশ নেবেন না। অন্য সাংসদ প্রতিনিধি পাঠাবেন। তৃণমূলের রাজ্যসভা দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়ানও বৈঠকে যাননি, প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছিলেন নাদিমুলকে।
কংগ্রেস-তৃণমূল সম্পর্ক নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা। সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ওরা নিজেরাই জানেন না, ওদের সম্পর্কটা ঠিক কী। কখনও সঙ্গে আছে, আবার কখনও দূরে চলে যাচ্ছে।”





