Kalyan on Buddhadeb Bhattacharjee: সৎ-ভাল মানুষ বুদ্ধবাবুকে বাংলার রাজনীতিতে দরকার, ভুল স্বীকার করে অনুশোচনা কল্যাণের

Kalyan Banerjee: প্রসঙ্গত, সে সময় একটি রাজনৈতিক কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বলেছিলেন, "আপনি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সন্ধ্যার পর কারা কারা নন্দনে আপনার সঙ্গে দেখা করতে যেত এবং কেন করতে যেত তার তদন্ত হওয়া দরকার আগে।

Kalyan on Buddhadeb Bhattacharjee: সৎ-ভাল মানুষ বুদ্ধবাবুকে বাংলার রাজনীতিতে দরকার, ভুল স্বীকার করে অনুশোচনা কল্যাণের
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 31, 2023 | 6:42 PM

নয়া দিল্লি: একজন যখন দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিনে শুয়ে কষ্ট পাচ্ছেন। আরেকজন তখন শহর কলকাতা থেকে কয়েকশো কিলোমিটার দূরে বসেও যন্ত্রণায় কাতর। প্রথমজনের কষ্টটা শরীরের, তবে দ্বিতীয়জন অনুশোচনার যন্ত্রণায় কাবু। প্রথমজন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, দ্বিতীয়জন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালের ঘটনা। সবে তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে। সেই সময় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আজকের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মাঝের এতগুলো বছরে বদলেছে ছবি। বুদ্ধবাবু এখন অসুস্থ। কল্যাণেরও বয়স বেড়েছে অনেকটাই। এখন তাঁর খারাপ লাগে সেদিনের কথা মনে পড়লে। দিল্লিতে দাঁড়িয়ে আরও একবার নিজের অনুশোচনার কথা জানালেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, একটা বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি। সেটা না করলেই ভাল হত। রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকলেও বুদ্ধবাবু সৎ মানুষ, বলেন সাংসদ।

এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আমি বিধায়ক ছিলাম। তখন রাজনৈতিক ইস্যুতে অনেক বক্তব্য রেখেছি। উনিও শুনেছেন। ২০১১ সালে কোনও একটা মন্তব্য আমি করেছিলাম বুদ্ধবাবু সম্পর্কে, সেটা নিয়ে পরবর্তীকালে আমি বলেছিলামও, মন্তব্যটা না করলেই ভাল হত। যাই হোক যা হওয়ার হয়ে গিয়েছিল। একজন রাজনীতিক হিসাবে বুদ্ধবাবুর একটা স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তো রয়েছেই। রাজনৈতিক অনেকরকম বিরোধিতা ছিল। রাজনীতিতে বিরোধিতা থাকবেই। তবে সার্বিকভাবে উনি সৎ ও ভাল মানুষ। উনি অসুস্থ, ওঁর সুস্থতা কামনা করি। যেদিন থেকে অসুস্থ হয়ে রাজনীতি থেকে সরে গেলেন আমার মনে হয়েছিল ওঁর সুস্থ থাকাটা দরকার। বাংলার রাজনীতির জন্য দরকার।”

২০১১ সাল। সবেমাত্র রাজ্য রাজনীতিতে পালাবদল হয়েছে। সিপিএমের ৩৪ বছরের রাজপাটের অবসানে তৃণমূলের জয়যাত্রা রাজ্যজুড়ে। সে সময় যেখানেই তৃণমূল সভা, সমাবেশ করছে বাক্যবাণে ক্ষত বিক্ষত করছে সিপিএমকে। কারও কারও মুখ তখন বেলাগামও হয়ে পড়ছে। কুকথায় বিরোধীকে বিঁধেই যেন তৃপ্তি। এ ধরনের বক্তার তালিকায় নাম ছিল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। সে সময় এক দলীয় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণ করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে।

কল্যাণ বলেছিলেন, “আপনি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সন্ধ্যার পর কে কে নন্দনে আপনার সঙ্গে দেখা করতে যেত এবং কেন করতে যেত তার তদন্ত হওয়া দরকার আগে। আপনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সততা নিয়ে প্রশ্ন করেন? আরে বাংলার মানুষ আপনার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন করে।” কল্যাণের এই বক্তব্য ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়। বিভিন্ন মহলে নিন্দারও ঝড় উঠেছিল। যদিও সে সময় কল্যাণ এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেননি। তবে গত কয়েক বছরে একাধিকবার এ নিয়ে আফসোস শোনা গিয়েছে কল্যাণের গলায়। আরও একবার সেই কথাই বললেন শ্রীরামপুরের সাংসদ।