মেঝেতে খেলছিল একরত্তি , হঠাৎ মা দেখেন প্রেশার কুকারে মুখ আটকে গিয়েছে বাচ্চার…

Uttar Pradesh: ঘরের ভিতরই খেলা করছিল সে। হাতের কাছে বাড়ির রোজকার ব্যবহারের থালা, বাসন ছড়ানো ছেটানো ছিল।

মেঝেতে খেলছিল একরত্তি , হঠাৎ মা দেখেন প্রেশার কুকারে মুখ আটকে গিয়েছে বাচ্চার...
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 29, 2021 | 6:37 PM

আগ্রা: এখনও ভাল করে হাঁটতে শেখেনি। হামাগুড়ি দিয়েই ঘরময় ঘুরে বেড়ায়। কখনও কখনও টলমল পায়ে এগোনোর চেষ্টা করে। কিন্তু এরই মধ্যে ভয়ঙ্কর এক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলে দেড় বছরের ওই শিশুটি। প্রেশার কুকারের ভিতর মাথা ঢুকিয়ে দেয় সে। এরপর…। সে এক বিভীষিকা। হাউ হাউ করে কেঁদে চলেন মা। বাড়ির বাকিদের সব রকম চেষ্টা যখন ব্যর্থ। প্রেশার কুকারে মুখ ঢোকানো অবস্থাতেই শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে উপস্থিত বুদ্ধি এবং মেডিক্যাল সায়েন্সের কারিগরিতে অবশেষে বিপদমুক্ত হয় সেই শিশু। ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের আগ্রার।

ওই শিশুর পরিবার জানিয়েছে, গত শনিবার লোহামান্ডির খাটিপাড়ায় মামার বাড়িতে ছিল দেড় বছরের ওই বাচ্চাটি। ঘরের ভিতরই খেলা করছিল সে। হাতের কাছে বাড়ির রোজকার ব্যবহারের থালা, বাসন ছড়ানো ছেটানো ছিল। বাকিরা যখন গল্পে মশগুল হঠাৎই তখন ওই শিশু সামনে রাখা প্রেশার কুকারটি টেনে নেয়। কুকারের ঢাকনা আলগা ছিল। বাকিরা কেউ কিছু খেয়াল করার আগেই ওই প্রেশার কুকারের ভিতর শিশুটি তাঁর ছোট্ট মুখটা ঢুকিয়ে দেয়। এদিকে তার মুখের তুলনায় কুকারটি খুব বেশি বড় না হওয়ায় কোনও ভাবে শিশুর মুখটি বেকায়দায় আটকে যায়।

দমবন্ধ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতেই সেও ছটফট শুরু করে। বাড়ির সকলেই ছুটে আসেন। প্রতিবেশীরাও ভিড় জমান। সকলেই নিজেদের মতো করে প্রেশার কুকার থেকে বাচ্চাটির মুখ বের করার চেষ্টা চালায়। যদিও কেউই সফল হয়নি। এদিকে ক্রমেই বাচ্চাটি ছটফটানি কমাতে থাকে। মা দেখেন, তাঁর কোলের একরত্তি ধীরে ধীরে নেতিয়ে পড়ছে। বড় বিপদের আশঙ্কা করে কান্নাকাটি জুড়ে দেন মা।

এরই মধ্যে একজন পরামর্শ দেন, বাচ্চাটিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার। আর কোনও কিছু না চিন্তা করে ওই বাচ্চাকে নিয়ে বাড়ির লোকজন বেসরকারি হাসপাতালে ছোটেন। শিশুর মুখে তখনও আটকে প্রেশার কুকার। চিকিৎসকরা তো এমন ঘটনা দেখে বেবাক! তাঁরা নিজেদের মতো চেষ্টা করলেও কেউই সফল হননি। এরপরই তাঁরা ঠিক করেন একটি গ্রাইন্ডার মেশিন আনানোর ব্যবস্থা করেন। খবর দেওয়া হয় মেকানিককে। তিনিই তাঁর যন্ত্রের সাহায্যে ওই প্রেশার কুকারটি কেটে শিশুটিকে বিপদমুক্ত করেন।

এসএম চ্যারিটেবল হাসপাতালের চিকিৎসক ফারহাত খান বলেন,  “গ্রাইন্ডারের সাহায্যে কুকারটি কাটানোর ব্যবস্থা করা হয়। সবরকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিই আমরা। একেবারে নিরাপদ ভাবেই শিশুটিকে রক্ষা করতে পেরেছি।” একরত্তিকে ফিরে পেয়ে চিকিৎসকদের সামনেই কেঁদে ফেলেন মা। পরিবারের লোকেরা জানান, যে ভাবে এই হাসপাতালের চিকিৎসকরা শিশুটির জন্য লড়াই করলেন তা চিরকাল তাঁরা মনে রাখবেন। আরও পড়ুন: পাশবিক! চোর সন্দেহে যুবককে গাড়ির পিছনে বেঁধে ঘষটাতে ঘষটাতে নিয়ে চলেছে একদল, ভাইরাল ভিডিয়ো