AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার’, অভিষেক-সহ ৫ নেতার বিরুদ্ধে FIR

Tripura: কেন দেবাংশু ভট্টাচার্যদের আদালতে নিয়ে যেতে দেরি হয়েছে, তারও বিস্তারিত কারণ তুলে ধরেন মনোরঞ্জন দেব বর্মা।

'পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার',  অভিষেক-সহ ৫ নেতার বিরুদ্ধে FIR
ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Aug 11, 2021 | 9:44 AM
Share

ত্রিপুরা: তৃণমূলের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ ত্রিপুরা (Tripura) সরকারের। এবার তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করল ত্রিপুরা পুলিশ। খোয়াই থানায় অভিষেক-সহ ৫ বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা রুজু করল ত্রিপুরা পুলিশ। ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবের সরকার ভয় পেয়েছে, পাল্টা টুইট করেছেন কুণাল ঘোষ।

খোয়াই থানার ওসি মনোরঞ্জন দেব বর্মা অভিষেক-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের তালিকায় রয়েছেন দোলা সেন, কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, সুবল ভৌমিক ও প্রকাশচন্দ্র দাসেরও। তাঁদের বিরুদ্ধে মূলত ২টি ধারায় মামলা করা হয়েছে। ১৮৬ ও ৩৪ নম্বর- এই দুটি ধারায় সরকারি কাজে বাধা দান ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে।

১৮৬ নম্বর ধারা- সরকারি কর্মীদের সরকারি কাজে বাধাদান ৩৪ নম্বর ধারা- একই উদ্দেশ্য নিয়ে করা অপরাধ।

কেন দেবাংশু ভট্টাচার্যদের আদালতে নিয়ে যেতে দেরি হয়েছে, তারও বিস্তারিত কারণ তুলে ধরেন মনোরঞ্জন দেব বর্মা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষরা দীর্ঘসময়ে থানায় বসে ছিলেন। আদালতে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের পদস্থ দুই কর্তা এসডিপিও ও অ্যাডিশন্যাল এসপি-র সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন মনোরঞ্জন দেব বর্মা।

অভিযোগপত্রে আরও একটি বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরেন পুলিশকর্তা। তিনি লিখেছেন, ‘তৃণমূলের নেতারা পুলিশকে বিজেপির দালাল’ বলে থানার মধ্যে বসেই দুর্ব্যবহার করেছিলেন। তবে পাল্টা তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, তাঁরা পুলিশের কোনও কাজেই বাধা দেননি। বরং তাঁরা পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কী ধারায়, কোন মামলায় তাঁদের দলে নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, এই মামলা অত্যন্ত হাস্যকর।

প্রসঙ্গত, রবিবারই খোয়াই থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রেফতার হওয়া যুব কর্মীদের জামিনের দাবিতে একটানা আন্দোলন চালিয়েছিলেন। রবিবার আগরতলার বিশেষ আদালতে তোলা হয় তৃণমূল যুব নেতা-নেত্রীদের।

বিকেলে যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা ও যুবনেত্রী জয়া দত্তর জামিন মঞ্জুর হয় । আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “চাকরি বাঁচাতে, পদ বাঁচাতে পুলিশকে এসব করতে হচ্ছে। বিপ্লব দেবের সরকারের অবসান দরকার।”  বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিত্সাধীন দুই ছাত্রনেতা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে গিয়েছেন। সেখানেই হামলার নেপথ্যে সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন তিনি। ত্রিপুরায় বিজেপি দানবীয় দল চালাচ্ছে বলেও কটাক্ষ করেন। আরও পড়ুন: অস্তিত্বই নেই, অথচ এমন পড়ুয়ার নামে সংখ্যালঘু বৃত্তি! কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ২৫ লক্ষ টাকা নয়ছয় শিলিগুড়িতে