পুজোর ক’টা দিনে সূর্যাস্তের পর লকডাউন হতে পারে বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায়
নিজস্ব প্রতিবেদন: স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুর্গাপুজো করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব (Biplab Kumar Dev)। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি দেখে উদ্বিগ্ন ত্রিপুরার স্বাস্থ্য দফতর। শারোদত্সবের পর ত্রিপুরায় করোনার গ্রাফচিত্র আরও ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যদফতর তাই আগে থেকেই মানুষের কাছে ভিড় না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে। সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিকর্তা চিকিত্সক শুভাশিস দেববর্মা […]
নিজস্ব প্রতিবেদন: স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুর্গাপুজো করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব (Biplab Kumar Dev)। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি দেখে উদ্বিগ্ন ত্রিপুরার স্বাস্থ্য দফতর। শারোদত্সবের পর ত্রিপুরায় করোনার গ্রাফচিত্র আরও ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যদফতর তাই আগে থেকেই মানুষের কাছে ভিড় না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে।
সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিকর্তা চিকিত্সক শুভাশিস দেববর্মা বলেছেন, “পুজোর বাজারে মানুষের ভিড়ই অশনি সঙ্কেত দিয়েছে। মণ্ডপগুলিতে যে ভিড় হবে তা বলাবাহুল্য। এভাবে সংক্রমণ অত্যন্ত দ্রুত ছড়াবে। কেরলের মতো পরিস্থিতি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।”
পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট করতে কেরলের একটি পরিসংখ্যানও তুলে ধরেছেন বিশিষ্ট চিকিত্সক। ওনাম উত্সব শুরু হওয়ার আগে কেরলে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৫,৯১২ জন। ওনাম উত্সব শুরু হওয়ার পর তা ক্রমেই বেড়েছে। ২ অগস্ট থেকে ২১ অক্টোবরের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩,২৭,৩৬১জন। মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। উত্সবের সময়ে সকলকেই করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই সব জেলাশাসক, পুলিস সুপার, সিএমও-দের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠক করেছেন তিনি। অভিযোগ উঠছে, রাজ্য সরকারের তরফে ভুল পদক্ষেপ করা হয়েছে। আর তাতেই বিপর্যয় বেড়েছে। তবে সূত্রের খবর, পুজোর ক’টা দিন রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে সূর্যাস্তের পর কার্ফু বা লকডাউন ঘোষণা করা হতে পারে। সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে এই পদক্ষেপ করা হতে পারে।
কোভিড পরিস্থিতিতে চিকিত্সকের অত্যন্ত অভাব রয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা। হাসপাতালে চিকিত্সা পরিষেবার সমস্ত চাপ প্রায় পাঁচশো চিকিত্সক সামলাচ্ছেন। সাময়িকভাবে কয়েকজনকে নেওয়া হয়েছে, তবে সেই সংখ্যাও কম। তাই সংক্রমণ রুখতে মানুষের কাছেই আবেদন জানাচ্ছেন চিকিত্সকরা।