পড়শি রাজ্যেও এবার ‘খেলা হবে’! নতুন দায়িত্ব নিয়ে প্রথম ভিনরাজ্যে অভিষেকের ‘অভিষেক’
ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলে যোগদান করছেন অনেকেই। এমনকি 'খেলা হবে' স্লোগানও জনপ্রিয় হয়েছে সে রাজ্য।
কলকাতা: ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলার বাইরে একাধিক রাজ্যে বিস্তার ঘটাতে শুরু করেছে তৃণমূল। একুশে জুলাই গুজরাট কিংবা উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যে তৃণমূলের শহিদ দিবস পালন তারই প্রমাণ দিচ্ছে। এরই মধ্যে বাংলার বাইরের রাজ্যে সফর শুরু করছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আগামী অগস্ট মাসেই ত্রিপুরা সফরে যাচ্ছেন তিনি। মাস ২০ পরই নির্বাচন সে রাজ্যে। আর তার আগে ঘর গোছানোর চেষ্টা শুরু ঘাসফুল শিবিরের।
সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এটাই হবে অভিষেকের প্রথম ভিন রাজ্যে সফর। ত্রিপুরায় ২০ মাস পরে নির্বাচনের বাকি। তার আগে বঙ্গের পড়শি রাজ্যে ঘাসফুল বিস্তারের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা সাজাতে শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই উত্তর ত্রিপুরা, উনকোটি, ধলাই-সহ বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলে যোগদানের প্রবণতা বেড়েছে। এ বার উপজাতিদের মধ্যেও প্রভাব বিস্তার করার সম্ভাবনা বাড়ছে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। উপজাতিদের অনুষ্ঠানেও তৃণমূল শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিল। যা সেখানকার জনতা গ্রহণ করেছে বলে দাবি নেতাদের।
এ দিকে তার আগেই ২১ জুলাই আগরতলার বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও ধর্মনগর ও উদয়পুরেও শোনা যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ। নেত্রীর ভাষণ শোনা ও দেখানোর জন্য জায়ান্ট স্ক্রিন থাকবে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিভিন্ন ব্লক থেকে জায়ান্ট স্ক্রিন বন্দোবস্ত করার অনুরোধ আসছে।
জানা যাচ্ছে, বাংলায় তৃণমূল সরকার তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গায় ঘাসফুল ফুটতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, মুকুল রায় দলে ফেরার পর ছবিটা আরও বদলাতে শুরু করেছে বলে্ দাবি রাজনৈতিক মহলের। ঘাসফুল শিবিরের আরও দাবি, ২ মে অর্থাৎ বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে এখনও পর্যন্ত বাম ও বিজেপি ছেড়ে হাজার দশেক কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন। ত্রিপুরায় ইতিমধ্যে জনপ্রিয় হয়েছে ‘খেলা হবে’ স্লোগানও। আরও পড়ুন: তৃণমূলের ৬ ইস্যুতে সরগরম বাদল অধিবেশন! সাইকেলের প্যাডেলেই প্রতিবাদের প্রথম ধাপ