আগরতলা: মাথার উপরে ছাদ পাবে ত্রিপুরা(Tripura)-র প্রায় দেড় লক্ষ বাসিন্দা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)- (Pradhan Mantri Awaas Yojana)-র প্রথম কিস্তিতেই ৭০০ কোটি টাকা ত্রিপুরাবাসীর অ্যাকাউন্টে পাঠাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য যারা আবেদন পাঠিয়েছিলেন, সরাসরি তাদের অ্যাকাউন্টে এই টাকা পাঠানো হবে, এমনটাই জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে।
ক্ষমতায় আসার পরই সমস্ত দেশবাসীর মাথার উপর একটি পাকা ছাদ তৈরি করে দিতে প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তা আগামী বছরের মধ্যে পূর্ণ করার লক্ষ্য রেখেছে কেন্দ্র সরকার। স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানেই জানানো হয়েছিল, ২০২২ সালের মধ্যে আবাস যোজনার অন্তর্ভুক্ত সকলকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।
এদিন দুপুর একটায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে ত্রিপুরার ১ লক্ষ ৪৭ হাজার উপভোক্তার হাতে পাকা বাড়ি তুলে দেবেন।
প্রধাানমন্ত্রীর দফতর থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে সমস্ত বাড়িগুলি বাঁশ, মাটি বা ঘাস, খড়-কুটো দিয়ে তৈরি, যাকে এক কথায় কাঁচা বাড়ি বলে, তাদেরই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে পাকা বাড়ি তৈরির জন্য আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে। তবে ত্রিপুরার ভূ-জলবায়ু অবস্থা বিবেচনা করে কাঁচা বাড়ির সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নিজের উদ্যোগেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছিল। এরফলে ত্রিপুরার বিপুল সংখ্যক মানুষ আবাস যোজনার অধীনে পাকা বাড়ি তৈরির সুযোগ-সুবিধা পাবে।
উল্লেখ্য, গতবছরই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে উত্তর-পূর্ব ভারত ও পার্বত্য অঞ্চলের মধ্যে “সেরা রাজ্য” হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিল। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে আবাস যোজনায় সর্বাধিক বাড়ি ত্রিপুরাতেই হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। চলতি বছরেও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রথম কিস্তি পেতে চলেছে ত্রিপুরার ১ লক্ষ ৪৭ হাজার মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার অধীনে দেশের প্রতিটি রাজ্যে গৃহহীন ও কাঁচা বাড়িতে বসবাসকারীদের পাকা বাড়ি তৈরির কাজের পর্যালোচনায় (audit) দেখা গিয়েছে, ছত্তীসগঢ়, মহারাষ্ট্র, মধ্য় প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, কর্নাটক ও তামিলনাড়ু অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। এই রাজ্যগুলিতে বরাদ্দ অর্থ দেওয়া হলেও বাড়ি তৈরির কাজ অধিকাংশ রাজ্যেই শুরু হয়নি। যে রাজ্য়গুলিতে কাজ শুরু হয়েছিল, সেখানেও নানা কারণে কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে বা ঢিমেতালে চলছে। কেন্দ্রের তরফে ইতিমধ্যেই এই রাজ্য়গুলিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বরাদ্দ অর্থ খরচ করে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের কারণে আবাস যোজনার কাজ আটকে থাকলেও পরবর্তী সময়ে বাকি রাজ্যগুলি দ্রুতগতিতে সেই কাজ শুরু করা হয়েছে।