নয়া দিল্লি: জনগণের ভাল লাগে, এমন সিদ্ধান্ত নয়, জনগণের জন্য মঙ্গলদায়ক সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার, TV9 নেটওয়ার্কের হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে কনক্লেভে এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেওয়া কঠিন সিদ্ধান্ত ও তার পিছনের কারণও ব্যাখ্যা করলেন তিনি।
TV9 নেটওয়ার্কের সত্তা সম্মেলনে অমিত শাহ বলেন, “মোদীজি ২০১৪ সাল থেকে সঠিক সময়ে অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা জনতার ভাল লাগে, এমন সিদ্ধান্ত নিইনা, জনগণের জন্য মঙ্গলদায়ক সিদ্ধান্ত নিই । এর মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। প্রথমেই ওয়ান র্যাঙ্ক, ওয়ান পেনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ২০১৬-তে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, ২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশে নির্বাচন ছিল। সবাই বলেছিল, বড় ভুল করেছি। কিন্তু ৩২৫ আসনে জয়ী হয়ে আমরা সবথেকে বড় সরকার গড়েছিলাম। জিএসটি আইন এনেছি। পুরো বিশ্ব আজ অবাক হয়ে দেখে যে জিএসটির মতো নিয়ম কীভাবে এত বড় দেশে চালু হল। আমরা জনধন, আধার কার্ড এনেছি। ১০ বছর আগে কেউ কল্পনা করতে পারত না যে সবজিওয়ালি অনলাইনে পেমেন্টের কথা বলবে।”
সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়েও কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সার্জিকাল স্ট্রাইক, এয়ার স্ট্রাইকের সিদ্ধান্ত যখন নেওয়া হয়েছিল, অনেকেই বলেছিল এর জন্য যুদ্ধ বাঁধতে পারে। মোদীজি বলেছিলেন, যা হবে দেখা যাবে। সীমান্ত ও সেনা নিয়ে টানাটানি সহ্য করব না। ঘরে ঢুকে জবাব দেওয়া হয়েছে। তিন তালাকের আইন নিয়ে কতদিন কথা হয়েছে, কেউ বাস্তবায়ন করেনি। ”
সিএএ নিয়ে তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর গান্ধী-নেহরুজির প্রতিশ্রুতি ছিল, পড়শি দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার। রাজনৈতিক তুষ্টিকরণের জন্য তা হয়নি। আমরা সিএএ এনেছি। ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্য়াহার করে কাশ্মীরকে দেশের অভিন্ন অংশ করেছি আমরা। ৩০ বছর পর নতুন শিক্ষা নীতি এনেছি। বিশ্বের সবথেকে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা এটা।”
মোদী সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে বলেন, “৪০ বছর ধরে নারী সংরক্ষণের কথা হচ্ছিল, কিন্তু কেউ করেনি। আমরা ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছি সংসদে। আইপিসিতে পরিবর্তন এনেছি, ব্রিটিশ যুগের আইনকে বিদায় জানিয়েছি। প্রভু শ্রীরামকে তার জায়গায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে মাত্র এই ১০ বছরের মধ্যেই। মোদী সরকার পরিবারবাদ, তুষ্টিকরণ, জাতিবাদ কে শেষ করে পলিটিক্স অব পারফরম্যান্স চালু করেছে। আমরা ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করি না, দেশের হিতকামনা করে রাজনীতি করি।”