Rajnath Singh: সন্ত্রাসবাদীদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক : রাজনাথ সিং
চিন অথবা পাকিস্তানের যতই অসৎ উদ্দেশ্য থাকুক না কেন, যখনই প্রয়োজন হয়েছে তখনই ভারতীয় সেনাবাহিনী পাল্টা জবাব দিয়েছে।
নয়া দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতের নিয়ন্ত্রণ রেখা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। বৃহস্পতিবার নয়া দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই দাবি জানালেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, “সন্ত্রাসবাদীদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক (Surgical Strike)।” চিন, পাকিস্তানের উদাহরণ টেনে তিনি আরও বলেন, “চিন অথবা পাকিস্তানের যতই অসৎ উদ্দেশ্য থাকুক না কেন, যখনই প্রয়োজন হয়েছে তখনই ভারতীয় সেনাবাহিনী পাল্টা জবাব দিয়েছে।”
এদিন নয়া দিল্লিতে টেলিভিশন সংবাদমাধ্যমের তরফে ‘ইন্ডিয়া রাইজিং কনক্লেভ’-এর আয়োজন করা হয়। সেই কনক্লেভ-এ বক্তৃতবা দিতে গিয়েই সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক গোটা বিশ্বকে বড় বার্তা দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদীদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। গোটা বিশ্বের কাছে ভারত একটা কড়া ও স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দিতে পেরেছে এবং এই স্ট্রাইক যেমন নিজের মাটিতে (সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে) করতে পারে এবং তেমন প্রয়োজনে (বিদেশ) মাটিতেও করতে পারে।” ভারতের একতা, অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বকে আঘাত করার চেষ্টা করলে তাকে রেহাই দেওয়া হবে না বলেও জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
অন্যদিকে,এদিনের ‘ইন্ডিয়া রাইজিং কনক্লেভ’ অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে রাজনাথ সিং বলেন, “এটা উদীয়মান ভারতের কনক্লেভ। ক্রমবর্ধমান ভারতের ধারণাকে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্নভাবে বর্ণনা করেছেন। কিছু অর্থনীতিবিদ একে ভারতের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি হিসেবে দেখছে, আবার কিছু সমাজবিজ্ঞানী একে সামাজিক জীবনযাত্রার উন্নতি হিসেবে বর্ণনা করেন। কিছু রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের শক্তিশালীকরণকে উদীয়মান ভারত বলে অভিহিত করেছেন। একইসঙ্গে এপ্রসঙ্গে নাম না করে রাহুল গান্ধী থেকে বিরোধীদেরও একহাত নেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, “এর বিপরীতে কথা বলারও অনেক লোক রয়েছে এবং তাঁদের কাছে ভারতে গণতন্ত্র ক্ষয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। তবে এই ধরনের লোকের সংখ্যা খুবই কম বলেও জানান তিনি।” ভারতের নিয়ন্ত্রণ রেখা সুরক্ষিত এবং সন্ত্রাসবাদীদের মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছে বলেই কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর ভারত জোড়ো যাত্রা করতে পেরেছেন এবং কোনও সমস্যার মুখে পড়েননি বলেও নাম না করে রাহুল গান্ধীকে তোপ দেগেছেন তিনি।
বর্তমানে উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে এবং উত্তর-পূর্ব দিল্লি ও ‘দিল’-এর কাছে এসেছেন বলেও দাবি জানান রাজনাথ সিং। তাঁর কথায়, “আমরা মর্যাদা, সাম্য এবং স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য কাজ করেছি।”