AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nirmala Sitharaman: ‘২৪ শতাংশ থেকে ৩.৫ শতাংশে নেমে এসেছে বাংলার শিল্প’, মমতার বাজেট পেশের আগে খোঁচা নির্মলার

Nirmala Sitharaman: সংসদে বাংলার জন্য এবার বাজেটে রেলের বিভিন্ন প্রকল্পের উল্লেখও করেন অর্থমন্ত্রী। দাবি করেন, অতীতের তুলনায় অনেক বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে এবার। বেশ কিছু তথ্যও তুলে ধরেন। খোঁচা দেন কেন্দ্রের বরাদ্দ হাতে নেওয়ার পর গুচ্ছ গুচ্ছ দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও।

Nirmala Sitharaman: ‘২৪ শতাংশ থেকে ৩.৫ শতাংশে নেমে এসেছে বাংলার শিল্প’, মমতার বাজেট পেশের আগে খোঁচা নির্মলার
তীব্র আক্রমণ সীতারামণের Image Credit: Facebook
| Edited By: | Updated on: Feb 11, 2025 | 7:20 PM
Share

নয়া দিল্লি: নির্মলার বাজেট সোনার হরিণের মতোই মরীচিকা। কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রের বাজেট নিয়ে এ ভাষাতেই তোপ দেগেছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী অভিষেকের এও দাবি ছিল, গোটা বাজেটই আসলে বিহারের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে করা হয়েছে। বাজেট পেশের পর থেকে খোঁচা দিয়েই চলেছেন তৃণমূল নেতারা। এবার বাজেটের জবাবী বক্তৃতায় তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। ‘বলা হয়েছে বাংলা বিরোধী বাজেট। তৃণমূল জনতা বিরোধী।’ তীব্র  আক্রমণ করে বসলেন নির্মলা। আর তিনি যখন এ কথা বলছেন, তার কিছু ঘণ্টা পরেই বাংলার বিধানসভায় পেশ হতে চলেছে রাজ্যের পূর্ণাঙ্গ বাজেট।  

সংসদে বাংলার জন্য এবার বাজেটে রেলের বিভিন্ন প্রকল্পের উল্লেখও করেন অর্থমন্ত্রী। দাবি করেন, অতীতের তুলনায় অনেক বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে এবার। বেশ কিছু তথ্যও তুলে ধরেন। খোঁচা দেন কেন্দ্রের বরাদ্দ হাতে নেওয়ার পর গুচ্ছ গুচ্ছ দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও। তাঁর কথায়, “অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গেও ২০১৬-১৭ সাল থেকে পিএম আবাস যোজনা গ্রামীণ প্রকল্প চালু হয়েছিল। সরকার কেন্দ্রীয় অংশীদারিত্বের টাকা হিসেবে ২৫৭৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে ২০১৬-১৭ সাল পর্যন্ত। ব্যাপক অভিযোগ এসেছে দুর্নীতির। সরকারি নিয়ম-নীতি মানা হয়নি। অযোগ্যদের দেওয়া হয়েছে।”  

তাঁর দাবি, একই ধরনের অভিযোগ এসেছে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে। কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রক সরকারের কাছে বারবার জবাব চেয়েছে। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। এদিন শুরু থেকেই কার্যত বাংলার সরকারের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত ছিলেন নির্মলা। সূত্রের খবর, একশোদিনের কাজ থেকে মিড ডে মিল, আয়ুষ্মান ভারত, সব কিছু নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। 

এদিন সংসদে ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, তৃণমূল স্তরের মানুষকে লুটে নেওয়া হয়েছে। মনরেগায় প্রচুর ভুয়ো কার্ড তৈরি হয়েছে। মিড ডে মিলে ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি। রেশন মাফিয়াদের দাপট চলেছে। আয়ুষ্মান ভারত ব্লক করা হয়েছে। তাঁর দাবি, গোটা দেশে যেখানে ৭৪ শতাংশ নলবাহী পানীয় জলের হার। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ৪৩ শতাংশ।

নির্মলার সাফ কথা, বাংলায় কাজ নেই, শিল্প নেই, ভিশন নেই। ১৯৪৭ সালে গোটা দেশের শিল্পের মধ্যে ২৪ শতাংশ ছিল পশ্চিমবঙ্গের। যা এখন ৩.৫ শতাংশে নেমে এসেছে। বাংলায় রোজগারের হার নিয়েও তোপ দাগেন। খোঁচা দিয়ে বলেন, “বাংলায় মাথাপিছু রোজগারের হার গত কুড়ি বছর ধরে দেশের অন্যান্য রাজ্যের অনেক পেছনে ২৩তম স্থানে রয়েছে।”