আলোচনার দরজা বন্ধ কখনওই বলেনি কেন্দ্র: জাভাড়েকর
গতকাল রাজধানীতে ট্রাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে তৈরি বিশৃঙ্খলার বিষয়ে ব্যক্তিগত মতামত জানতে চাইলে তিনি সুকৌশলে বিতর্ক এড়িয়ে বলেন, "আপনাদের যেমন অনুভূতি হচ্ছে, আমারও একই অনুভূতি।"
নয়া দিল্লি: “কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের দরজা বন্ধ” একথা কখনওই বলেনি সরকার, বুধবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী প্রকাশ জাভাড়েকর (Prakash Javadekar)। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর মিছিলে (Tractor Rally) যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার একদিন পরই কেন্দ্রের তরফে কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে প্রতিক্রিয়া মিলল।
গত শুক্রবার কেন্দ্র ও আন্দোলনকারী কৃষকদের মধ্যে একাদশতম বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, “কৃষি আইন এক থেকে দেড় বছরের জন্য স্থগিত রাখার যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা কৃষকদের মেনে নেওয়া উচিত।” যদিও কৃষকরা সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেয়। বৈঠক শেষে কৃষক সংগঠনগুলির তরফে বলা হয়, “কেন্দ্র জানিয়েছে তারা এই আলোচনা প্রক্রিয়া শেষ করছে। এরপর সুপ্রিম কোর্ট গঠিত কমিটিই সিদ্ধান্ত নেবে।”
কেন্দ্রের তরফে আয়োজিত ক্যাবিনেট বিবৃতিতে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী প্রকাশ জাভাড়েকর বলেন, “আমরা কখনও বলিনি যে আলোচনার দরজা বন্ধ। আপনারা শুনেছেন এই কথা বলতে? কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করা হলে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।”
আরও পড়ুন: এই প্রথম জিডিপির ৪ শতাংশ স্বাস্থ্যক্ষেত্রে? নির্মলার ‘মাস্টারস্ট্রোক’ দেখতে মুখিয়ে দেশ
আগামী বৈঠকের দিন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা আগেই বলেছি। যদি পরিকল্পনায় কোনও পরিবর্তন আনা হয়, তবে তা আগেই জানানো হবে।” গতকাল রাজধানীতে ট্রাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে তৈরি বিশৃঙ্খলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, নিরাপত্তা কমিটির থেকে ভিন্ন ক্যাবিনেট। ব্যক্তিগত মতামত জানতে চাইলে তিনি সুকৌশলে বিতর্ক এড়িয়ে বলেন, “আপনাদের যেমন অনুভূতি হচ্ছে, আমারও একই অনুভূতি।”
দশম দফা বৈঠকের পরই কেন্দ্রের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, আইন প্রত্যাহার নয়, তবে আগামী এক থেকে দেড় বছরের জন্য তারা কৃষি আইন স্থগিত রাখতে প্রস্তুত কেন্দ্র। প্রথমে এই প্রস্তাবে আন্দোলনকারী কৃষকদের একাংশ রাজি হলেও পরে জানানো হয়, দীর্ঘ দুই মাস ধরে আন্দোলনের পর আইন প্রত্যাহার ছাড়া অন্য কোনও প্রস্তাব মানতে তারা রাজি নয়। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা একাদশতম বৈঠকেও দুই পক্ষ নিজেদের দাবিতে অনড় থাকায় সেই বৈঠকও নিষ্ফলা পরিণত হয়। কেন্দ্রের তরফে আগামী কোনও বৈঠকের দিনও ঘোষণা করা হয়নি।
আরও পড়ুন: একমাস আগেই সতর্কবার্তা, ট্রাক্টরে চালিয়ে এসে ইস্তফা দিলেন হরিয়ানার বিধায়ক