Uttar Pradesh: সাংবাদিকদের জন্য আবাসনও, কোভিডে মৃত সাংবাদিকদের পরিবারকে ৫.৩০ কোটি টাকা দিয়ে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
Uttar Pradesh: কোভিডে মৃত সাংবাদিকদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা করেন দিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তারপর তিনি সাংবাদিকদের জন্য আবাসনের কথাও বলেন।
লখনউ: ফের একবার কোভিডের (Covid-19) হাতছানি। চিন, জাপান সহ বিশ্বের একাধিক দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সেসব দেশে করোনাকে (Corona) বেড়ি পরাতে একপ্রকার বেগ পেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। এই আবহে চিনের বেশিরভাগ সংক্রমণের জন্য যে ভ্য়ারিয়েন্ট দায়ী সেই বিএফ.৭ এর হদিশ মিলেছে ভারতেও। করোনা দাঁত-নখ বের করার আগেই সংক্রমণ রুখতে তৎপর কেন্দ্র। এই নিয়ে একাধিক বৈঠকও হয়েছে। কোভিড সংক্রান্ত একাধিক নির্দেশিকাও পাঠানো হয়েছে রাজ্যগুলিকে। এই আবহেই গত দু’বছরে কোভিডে মৃত সাংবাদিকদের পরিবারের তুলে দিলেন আর্থিক সাহায্য। এবং কোভিড কালেও তাঁদের কাজের প্রতি প্রতিজ্ঞা ও সাহসিকতার জন্য তাঁদের বাহবাও জানিয়েছেন।
রবিবার ছিল ‘সুপ্রশাসন দিবস’ (Good Governance Day)। সেই উপলক্ষেই গতকাল তাঁর বাসভবনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠান থেকেই গতকাল কোভিডে মৃত ৫৩ সাংবাদিকদের প্রত্যেকের পরিবারের হাতে ১০ লক্ষ টাকা করে তুলে দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এদিকে এ বছর জুলাই মাসেও কোভিডে মৃত ৫০ সাংবাদিকদের পরিবারের হাতে ১০ লক্ষ টাকা করে তুলে দিয়েছিল উত্তর প্রদেশের সরকার। এ দিন তিনি সমাজের প্রতি সাংবাদিকদের অবদানের কথাও বলেন।
তিনি বলেছেন যে, কোভিডকালে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও সাংবাদিকরা মহামারির খুঁটিনাটি বিষয়ে গোটা সমাজকে যেভাবে সতর্ক করেছেন এবং বৃহত্তর জনকল্যাণ এবং গঠনমূলক সমালোচনার স্বার্থে যেভাবে নিরন্তর কাজ করে গিয়েছেন তা প্রশংসনীয়। তিনি এদিন বলেছেন, “করোনার কারণে ১০৩ জন সাংবাদিক অসময়ে মারা গিয়েছেন। এটি আবেগঘন মুহূর্ত। এই দুঃখে সরকার প্রত্যেক পরিবারের পাশে রয়েছে। আজ প্রত্যেক পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। ”
তিনি এ দিন আরও বলেছেন, “শুধু এই অর্থ সাহায্য়ই নন। মুখ্যমন্ত্রী বাল সেবা যোজনা এবং পিএম কেয়ার যোজনার অধীনে মৃত সাংবাদিকদের স্ত্রী-রা পেনশন পাবেন এবং সন্তানরা অর্থ সাহায্য পাবেন।” তিনি এ দিন বলেন, সাংবাদিকদের কাজ করার পথ আলাদা হলেও সরকার আর সাংবাদিকদের কাজের উদ্দেশ্য একই। তিনি বলেন, “দুই সংস্থাই দেশের ও জনগণের হিতের জন্য কাজ করে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও তাঁদের কাজ চলতে থাকে। সরকার সব সাংবাদিকদের আবাসিক সুবিধা দিতে চায়।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “গোরখপুরে একটি মডেলের উপর কাড চলছে। তা সফল হলে রাজ্যের সব শহরের ও মেট্রোর সাংবাদিকদের জন্য খুব শীঘ্রই আবাসনের স্কিম নিয়ে আসা হবে।”