Nagpur Murder Case: রক্তে ভাসছে রাস্তা, পড়ে রয়েছে থ্যাতলানো দেহ, এই ঘটনা শুনলে কারোর কাছে সাহায্য চাইতেও ভয় পাবেন!

Nagpur Murder Case: মোবাইল ভেঙে ফেলাকে কেন্দ্র করেই বচসা শুরু হয়েছিল। তার জেরেই খুন হন ওই শ্রমিক। জানা গিয়েছে, মৃত ওই শ্রমিকের নাম সালিরাম ওরফে রিঙ্কু কুমার (৩১)।

Nagpur Murder Case: রক্তে ভাসছে রাস্তা, পড়ে রয়েছে থ্যাতলানো দেহ, এই ঘটনা শুনলে কারোর কাছে সাহায্য চাইতেও ভয় পাবেন!
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 25, 2022 | 11:05 AM

নাগপুর: ফোনের চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ায় রাস্তার ধারেই দাঁড়িয়ে থাকা এক কিশোরের কাছ থেকে ফোন চেয়েছিলেন বাড়িতে খবর দেওয়ার জন্য। কিন্তু কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না ওই কিশোর। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয়। অবশেষে ফোন দিতে রাজি হয় ওই কিশোর। তবে এবার শয়তানি করলেন ওই ব্যক্তিই। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা হয়ে যাওয়ার পরই রাগের চোটে আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেললেন কিশোরের ফোন। ব্যস, রাগে হুঁশ হারাল কিশোরও। রাগের মাথায় খুনই করে দিলেন ওই ব্যক্তিকে। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বচসার জেরেই এক কিশোর ওই শ্রমিককে খুন করেছে। মোবাইল ভেঙে ফেলাকে কেন্দ্র করেই বচসা শুরু হয়েছিল। তার জেরেই খুন হন ওই শ্রমিক। জানা গিয়েছে, মৃত ওই শ্রমিকের নাম সালিরাম ওরফে রিঙ্কু কুমার (৩১)। উত্তর প্রদেশের সিদ্ধার্থনগরের বাসিন্দা কাজের খোঁজেই মহারাষ্ট্রে এসেছিলেন। বিগত কয়েক বছর ধরেই তিনি নাগপুরে বসবাস করছিলেন।

বুধবার রাতে তিনি রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। কোনও একটি প্রয়োজনে বাড়িতে ফোন করতে গিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু তাঁর ফোনের চার্জ শেষ হয়ে যায়। সেই কারণেই পথচলতি ওই কিশোরের কাছ থেকে তিনি ফোন ধার চেয়েছিলেন। প্রথমে ওই কিশোর তাঁর ফোন দিতে অস্বীকার করে। এর জেরে দুজনের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। কিছুক্ষণ বাদে ওই কিশোর রিঙ্কু কুমারকে ফোন দিতে রাজি হয়। কিন্তু পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলার পরই তিনি আচমকা ওই কিশোরের ফোন আছাড় মেরে ভেঙে ফেলেন। এরপরই দুজনের মধ্যে ফের বচসা শুরু হয়, যা পরে হাতাহাতির রূপ নেয়। জানা গিয়েছে, ভারী কোনও বস্তু দিয়েই ওই কিশোর শ্রমিককে লাগাতার আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খোঁজ চলছে অভিযুক্তের।