Forced Abortion: ‘ছেলে হচ্ছিল না’ বলে পাঁচ বার ‘গর্ভপাত’ করানো হয়েছিল! মায়ের যন্ত্রণার কথা শোনালেন মেয়ে

Uttar Pradesh: এই ঘটনা নিয়ে হইচই পড়েছিল লতিকা ও তনয়ার এক চিঠিকে ঘিরে। উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিং যাদবকে নিজেদের রক্ত দিয়ে চিঠি লেখেন দুই বোন।

Forced Abortion: ‘ছেলে হচ্ছিল না’ বলে পাঁচ বার ‘গর্ভপাত’ করানো হয়েছিল! মায়ের যন্ত্রণার কথা শোনালেন মেয়ে
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2022 | 6:42 PM

লখনউ: মনোজ বনসলসের সঙ্গে অনুর বিয়ে হয়েছিল ২০০০ সালে। এর পর দুই কন্যা সন্তান জন্ম নেয় তাঁদের। লতিকা ও তনয়া। কিন্তু কন্যা সন্তানে সন্তুষ্ট ছিলেন না অনুর শ্বশুরবাড়ির পরিবারের লোকেরা। তাই পুত্র সন্তান জন্মের জন্য চাপ ছিল। লতিকার অভিযোগ, তিনি ও তাঁর বোনের জন্মের পর পাঁচ বার গর্ভপাত করানো হয়েছিল তাঁদের মায়ের। পঞ্চম বার গর্ভপাতের জেরে সংক্রমিত হয়ে পড়েন অনু। তার জেরেই ২০১৬ সালে মৃত্যু হয় অনুর।

মা অনুর সেই অসম্ভব যন্ত্রণার কথা এখনও ভুলতে পারেননি লতিকা। ২০১৬ সালের ১৪ জুন। মায়ের এই ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখে দিদিমা সাহায্যের জন্য ফোন করেছিলেন লকিতা। এই ঘটনার পর থেকে লতিকা ও তাঁর বোন তনয়া মামার বাড়িতে দিদার কাছেই থাকেন। লতিকা জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের ১৪ জুন পঞ্চম বার গর্ভপাত করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মাকে। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় দিল্লি নিয়ে যাওযা হয়েছিল। সেখানেই ২০ জুন মৃত্যু হয় তাঁর। এর পর অনুর মা ওমবতী দেবী তাঁর মেয়ের মৃত্যু নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। মনোজের পরিবারের সাত সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর পর থেকেই দিদার কাছেই থাকেন লতিকা ও তনয়া।

কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে হইচই পড়েছিল লতিকা ও তনয়ার এক চিঠিকে ঘিরে। উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিং যাদবকে নিজেদের রক্ত দিয়ে চিঠি লেখেন দুই বোন। সেখানে মায়ের মৃত্যুতে অভিযুক্ত বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান। এর পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল। যা এখনও চলছে।

এর মধ্যে অনেকটাই বড় হয়েছেন লতিকা এবং তনয়া।  লতিকা বিজ্ঞানে স্নাতক হয়েছেন। তিনি বলেছেন, “মায়ের যখন মৃত্যু হয় তখন আমি অনেক ছোট ছিলাম। তয়না আরও ছোট ছিল। সে এখন দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে। এই মামলা চলাকালীন প্রচুর চাপ এসেছে আমাদের উপর। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা মামার বাড়িতেই থাকি। মামা আমাদের পড়াশোনার খরচ দিয়েছেন। কিন্তু মাকে রোজ আমরা মিস করি।”