Lakhimpur Kheri: লখিমপুরে বিজেপি কর্মীদের হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার আরও ২
Uttar Pradesh SIT: ৩ অক্টোবর লখিমপুর খেরিতে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল, তাতে দুই বিজেপি কর্মী এবং একজন গাড়ি চালকের মৃত্যু হয়েছিল। ওই হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
লখিমপুর : গত বছরের ৩ অক্টোবর লখিমপুর খেরিতে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল, তাতে দুই বিজেপি কর্মী এবং একজন গাড়ি চালকের মৃত্যু হয়েছিল। ওই হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) তাদের আটক করে।
এই নিয়ে, এফআইআর নম্বর ২২০ -এর আওতায় মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য কৃষকদের গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনায় দুই বিজেপি কর্মী শুভম বাজপেয়ী ও শ্যাম সুন্দর নিষাদ এবং ওই গাড়ির চালক হরিওম ৩ অক্টোবর এক দল বিক্ষুব্ধ জনতার রোষানলে পড়ে মারা গিয়েছিল বলে অভিযোগ। লখিমপুর খেরির ওই হিংসায় নিহত আটজনের মধ্যে একজন সাংবাদিকও ছিলেন। ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া বাকি চারজনের নাম – বিচিত্র সিং, গুরবিন্দর সিং, রঞ্জিত সিং এবং অবতার সিং। তাদের আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
নতুন যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের নাম কাওয়লজিৎ সিং এবং কমলজিৎ সিং। অভিযুক্তদের বাড়ি যথাক্রমে টিকুনিয়া থানা এলাকার খইরাটিয়া গ্রামে এবং পালিয়া থানার অন্তর্গত বাবউড়া গ্রামে। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরির হিংসার ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে মন্ত্রীপুত্র আশিস মিশ্র। অজয় মিশ্রকেও মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর জন্য চাপ দিচ্ছে বিরোধীরা। আর ঠিক এই সুযোগে, অজয় মিশ্রকে লখিমপুর খেরির ঘটনার কিছু ভিডিয়ো দেখিয়ে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ৩ অক্টোবর উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্র ও উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্য্যের। মন্ত্রীদের আসার পথেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কৃষকরা। আচমকাই কনভয় থেকে একটি কালো রঙের এসইউভি গাড়ি কৃষকদের ধাক্কা মারে। এরপরই সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনায় ৪ কৃষক সহ মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, ওই গাড়িতে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশীষ মিশ্র। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তাল হয়ে ওঠে জাতীয় রাজনীতি।
এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছিল সুপ্রিম কোর্টও। সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, “এই ধরনের ঘটনার দায় কেউই নিতে চায় না।” বিচারপতি খানউইলরের মন্তব্য, “এই ধরনের ঘটনা যখন ঘটে তখন কেউ দায় নিতে চায় না। সম্পত্তির ক্ষতি হয়, মানুষজন আহত হন, কিন্তু কেউই দায় নেয় না।”
আরও পড়ুন: Nandigram Case: নন্দীগ্রাম মামলা ভিনরাজ্যে সরানোর আবেদনে সোমবার শুনানি শীর্ষ আদালতে
আরও পড়ুন: Omicron Variant: দিনে ৬০ হাজার মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে, জানুন কেন ভয় পাবেন ওমিক্রনকে?