Nandigram Case: নন্দীগ্রাম মামলা ভিনরাজ্যে সরানোর আবেদনে সোমবার শুনানি শীর্ষ আদালতে
Plea seeking transfer of Nandigram case: শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, রাজ্যের মধ্যেই মামলা চললে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা প্রভাবিত করতে পারেন। অর্থ ব্যবহার করে অথবা পেশিশক্তি প্রদর্শন করে মামলার সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারে। এ
নয়া দিল্লি: সোমবার নন্দীগ্রাম মামলা রাজ্যের বাইরে সরানোর জন্য আবেদনের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রামের নির্বাচনী ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। সেই মামলা অন্য রাজ্যে সরানোর আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই সংক্রান্ত মামলারই শুনানি রয়েছে সোমবার শীর্ষ আদালতে। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, রাজ্যের মধ্যেই মামলা চললে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা প্রভাবিত করতে পারেন। অর্থ ব্যবহার করে অথবা পেশিশক্তি প্রদর্শন করে মামলার সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে মামলাটি কলকাতা হাইকোর্ট থেকে রাজ্যের বাইরে অন্য কোথায় স্থানান্তর করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
যদিও লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, নন্দীগ্রাম মামলাটি যে সময় হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে ছিল, তখন এই মামলা স্থানান্তরের আর্জি জানাননি শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনে কৌশিক চন্দ মামলাটি ছেড়ে দেওয়ার পরই এই আবেদন জানালেন শুভেন্দু। আর এই আবেদন জানানোর ক্ষেত্রে বিচারপতি কৌশিক চন্দের রায়কেই হাতিয়ার করে তিনি স্পষ্টভাবে বোঝাতে চেয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্টের বিচার প্রক্রিয়ার উপর তাঁর আস্থা নেই।
কিন্তু কিসের ভিত্তিতে এমনটা দাবি করেছিলেন শুভেন্দু? উল্লেখ্য, মমতার আপত্তির ভিত্তিতে বিচারপতি কৌশিক চন্দ নন্দীগ্রামের মামলাটি ছেড়ে দিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু বেশ কিছু কড়া মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। মূলত দু’টো বিষয় নিজের রায়ে উল্লেখ করেছিলেন কৌশিক চন্দ। প্রথমত, বিচার ব্যবস্থাকে বাঁচানোর নামে বেশ কিছু সুবিধাবাদী ব্যক্তি মামলায় ঢোকার চেষ্টা করছে। দ্বিতীয়ত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। কোনও আইনজীবীকে বিচারপতি হিসেবে উন্নীত করার সময় যে মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতি প্রয়োজন হয়, সেই বিষয়টি নিজের চিঠির মাধ্যমে প্রকাশ্য এনে ফেলেছিলেন মমতা। এর ফলে বাকি বিচারপতিরা প্রভাবিত হতে পারেন বলে উল্লেখ করেছিলেন কৌশিক চন্দ।
বিচারপতি কৌশিক চন্দের রায়কে হাতিয়ার করেই শুভেন্দুর বক্তব্য, যেখানে স্বয়ং বিচারপতি এই মন্তব্য করেছেন, এবং নন্দীগ্রামের মতো হাইভোল্টেজ আসন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা মামলা লড়ছেন, সেই অবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিরা কীভাবে এই মামলার রায়দান নিরপেক্ষভাবে করবেন? এই দৃষ্টান্ত তুলে ধরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। এ বার শুভেন্দুর আবেদনের ভিত্তিতে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানি প্রক্রিয়া কোন দিকে মোড় নেয়, নজর থাকবে সেদিকেই।
আরও পড়ুন : Covid Spike: বেলাগাম করোনা! শুরু থেকেই ‘টার্গেট’ স্বাস্থ্যকর্মীরা? ন্যাশনালের ল্যাব রিপোর্টে উদ্বেগ
আরও পড়ুন : Jagdeep Dhankhar: লোকায়ুক্ত নিয়োগের বিষয়ে কেন বিরোধী দলনেতার মতামত নেওয়া হয়নি, জানতে চাইলেন রাজ্যপাল