
নয়া দিল্লি: বিরোধীরা যখন নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা পরিমার্জন নিয়ে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ তুলতে ব্যস্ত তখন বঙ্গ বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি টেনে আনলেন এক্কেবারে তাঁর স্বর্গত মা-বাবাকে। ভুয়ো ভোটার নিয়ে খানিক কটাক্ষ মিশ্রিত আক্ষেপের সুরে বললেন, “ভোটের দিন আমার মা-বাবা এসেছিলেন। পরে জানতে পেরেছিলাম সাড়ে তিনটের সময় ওরা নাকি ভোট দিয়ে চলে গিয়েছিলেন! আমি ওই সময় ভোটটা দিতে গেলেই দেখা হত।” আসলে, ভোটার লিস্ট স্বচ্ছ করতে পরিমার্জনের কাজ পুরোদমে শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিহারেই ‘নিখোঁজ’ প্রায় ৫৬ লক্ষ। এ নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যেই এবার বিরোধীদের তুলোধনা করলেন শমীক।
ভোটার তালিকা পরিমার্জন বিতর্ক নিয়ে বলতে গিয়ে শমীক বলেন, “সংশোধন একটা চলমান পদ্ধতি। সবসময়ই রিভিশন হয়ে থাকে। নির্বাচন কমিশন একটা সাংবিধানিক সংস্থা। এখানে সরকারের কিছু করার নেই। কোনও রাজনৈতিক দলের কিছু করার নেই। তাঁরা সংসদকে অচল করেছেন, সংসদের সামনে ধরনা দিচ্ছেন। এটা আসলে অত্যন্ত দুর্বল চিত্রনাট্য।” এরপরই বাস্তবতা বুঝিয়ে তিনি আরও বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে যান না। ২০২৪ কে তাঁরা রাখতে বলছেন! ২০২৪ টা যদি ভিত্তি হয়, তাহলে কী এমন কেউ দাবি করেছেন একুশ সালের ভোটার লিস্টের রয়েছে তার ভিত্তিতে, ভোটের ভিত্তিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ করুন। সেটা হয় নাকি কোনওদিন। একুশ, চব্বিশের বিষয় নয়। মূল বিষয় হল ভোটার লিস্টকে ক্রুটি মুক্ত করা, মৃত মানুষের নাম ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দেওয়া।”
এরপরই কটাক্ষের সুরে বলেন, “এই যে বিধাননগরে ভোট হল। আমার মা-বাবা চলে গিয়েছেন কোভিডে ১৮ দিনের ব্যবধানে। আমি যখন বিকালে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরলাম তখন পার্টি অফিস থেকে জানতে পারলাম সাড়ে তিনটের সময় ওরা এসেছিলেন সল্টলেকের স্কুলে ভোট দিতে! ওই সময় যদি ভোটটা দিতাম তাহলে দেখা হত! আমার জীবনে কত বড় দুঃখের দিন বলুন তো!” শমীকের সাফ কথা, রোহিঙ্গা মুক্ত, মৃত ভোটার মুক্ত এবং ভুয়ো ভোটার মুক্ত স্বচ্ছ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যে ভোটার তালিকা বের হবে তা সকলের গ্রহণ করা উচিত।