Bengaluru Stampede: জানলে চমকে যাবেন, চিন্নাস্বামীর বাইরে এই ‘একটা ঘটনা’ না হলে এত মানুষ পদপিষ্টই হত না! বেরিয়ে এল সত্যিটা
Bengaluru Stampede: চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে লাখ লাখ আরসিবি সমর্থক জড়ো হয়েছিল। স্টেডিয়ামের প্রবেশ পথ যথেষ্ট সরু ছিল। আরসিবি সমর্থকরা ৫ এবং ৬ নম্বর গেট দিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশের দাবি জানাচ্ছিলেন।

বেঙ্গালুরু: পছন্দের দল ১৮ বছরে প্রথমবার আইপিএল ট্রফি জিতেছে। প্রিয় খেলোয়াডদের একবার চাক্ষুষ দেখার সুযোগ ছাড়তে চাননি কেউই। সেই কারণে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের কথা জানতে পেরেই লাখ লাখ মানুষ ভিড় করেছিলেন। আর তাতেই বিপত্তি। বেঙ্গালুরুতে আরসিবির আইপিএল জয়ের বিজয় মিছিল পরিণত হল মৃত্যু মিছিলে। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল কমপক্ষে ১১ জনের। আহত আরও কমপক্ষে ৫০ জন। কিন্তু কেন এই ঘটনা ঘটল? এতগুলি মৃত্যু কি এড়ানো যেত না?
পদপিষ্টের ঘটনার পরই বিরোধীরা কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারকেই দুষেছেন অব্যবস্থার জন্য। লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়, তা সামাল দেওয়ার জন্য মোতায়েন ছিল মাত্র ৫ হাজার পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের তোয়াক্কা না করেই ভিড় এগিয়েছে। পরিস্থিতি যখন হাতের বাইরে, তখন সামান্য লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হয়েছে। এবার জানা গেল ঠিক কোন জায়গা থেকে বিপত্তিটা ঘটেছিল।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে যে ড্রেনগুলি রয়েছে, তার উপরে অস্থায়ী বা কাচা সিমেন্টের স্ল্যাব রাখা ছিল। ৪টে ৪৫ মিনিট নাগাদ তখন স্টেডিয়ামের গেটের কাছে তুমুল ভিড়। সেই সময়ই ভিড়ের চাপে একটি স্ল্যাব ভেঙে যায়। ড্রেনে পড়ে যায় কয়েকজন। এখান থেকেই প্রথম হুড়োহুড়ি শুরু হয়, যা থেকে পদপিষ্ট হয়।
অন্যদিকে, চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে লাখ লাখ আরসিবি সমর্থক জড়ো হয়েছিল। স্টেডিয়ামের প্রবেশ পথ যথেষ্ট সরু ছিল। আরসিবি সমর্থকরা ৫ এবং ৬ নম্বর গেট দিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশের দাবি জানাচ্ছিলেন। পরে কয়েকজন ৬ নম্বর গেট বেয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এই সময় এক যুবক পড়ে যান এবং তার পা ভেঙে যায়।
১৮ নম্বর গেটের কাছেও কয়েকজন ভিড়ের চাপে পদদলিত হন। অনেকে গুরুতর আহত হন। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে। এদিকে, ১২ নম্বর গেটে ভক্তদের সংখ্যা বেড়ে যায়। এরপর বাধ্য হয়ে স্টেডিয়ামের কর্মীরা গেট খুলে ভক্তদের প্রবেশ করতে দেয়। আগত আরসিবি ভক্তরা হঠাৎ ব্যারিকেড ঠেলে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে শুরু করে, যার ফলে পদপিষ্ট হন বেশ কয়েকজন।
মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া নিজেই বলেছেন যে স্টেডিয়ামের বাইরে ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ জড়ো হয়েছিল। যেখানে স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা মাত্র ৩৫ হাজার। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে যে সরকার বিশাল জনসমাগমের সম্ভাবনা সম্পর্কে অবগত ছিল না?

