Samrat Choudhary: শপথ ছিল নীতীশকে সরিয়ে তবে পাগড়ি খুলবেন, আজ তাঁরই ডেপুটি সম্রাট

Samrat Choudhary: বিহার মন্ত্রিসভার উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বিজেপির দুই নেতা - সম্রাট চৌধরী এবং বিজয় শর্মা। সম্রাট চৌধরী হলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। দুদিন আগে পর্যন্ত খোলাখুলি নীতীশ-বিরোধিতা করতেন। এমনকি বলেছিলেন, নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে তবেই পাগড়ি খুলবেন।

Samrat Choudhary: শপথ ছিল নীতীশকে সরিয়ে তবে পাগড়ি খুলবেন, আজ তাঁরই ডেপুটি সম্রাট
উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথের পর সম্রাট চৌধরীImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Jan 28, 2024 | 7:23 PM

পটনা: রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বিহার মন্ত্রিসভার উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বিজেপির দুই নেতা – সম্রাট চৌধরী এবং বিজয় শর্মা। বিজয় শর্মা এর আগে রাজ্য বিধানসবার বিরোধী দলনেতা ছিলেন। আর সম্রাট চৌধরী হলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। তবে, সবথেকে বেশি আলোচনা হচ্ছে সম্রাট চৌধরি নীতীশের জেপুটি হওয়াতেই। কারণ, এই নেতা দুদিন আগে পর্যন্ত খোলাখুল নীতীশ বিরোধিতা করতেন। এমনকি, তিনি মাথায় সবসময় পাগড়ি পরে ঘোরেন। তিনি শপথ নিয়েছিলেন, নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে তবেই পাগড়ি খুলবেন। এহেন সম্রাট চৌধরিকেই এখন নীতীশের আওতায় কাজ করতে হবে।

সম্রাট চৌধুরী ওরফে রাকেশ কুমার বিজেপির বিধান পরিষদের দলনেতা। গত বছর তাঁকে বিহার বিজেপির প্রধানের দায়িত্ব দেন অমিত শাহ। তিনি দলের একজন বিশিষ্ট ওবিসি নেতা হিসেবে পরিচিত। বিহারের এক সম্বৃদ্ধ রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে এসেছেন তিনি। তাঁর বাবা, শকুনি চৌধরী ছিলেন একজন প্রাক্তন সেনা কর্তা। পরবর্তী জীবনে তিনি সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েছিলেন। জর্জ ফার্নান্ডেজদের সঙ্গে সমতা পার্টির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। যে সমতা পার্টি থেকে উঠে এসেছেন নীতীশ কুমার। বিহারের রাজনীতিতে নীতীশ এবং লালুপ্রসাদ যাদব – দুজনেরই ঘনিষ্ঠ শকুনি চৌধরী।

নীতীশের সঙ্গে সম্রাট

এদিকে, সম্রাট নিজে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। আর সেই কারণেই তাঁকে বিহারে দলের নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হয়। সমতা পার্টির সদস্য হিসেবেই খাগরিয়া লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন সম্রাট। পরে আরজডি দলে যোগ দিয়েছিলেন। রাবড়ি দেবীর নেতৃত্বাধীন আরজেডি সরকারে মন্ত্রী পদেও ছিলেন তিনি। ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি আরজেডিতেই ছিলেন। পরে তিনি দলের মধ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন এবং জিতেন রাম মাঝির নেতৃত্বে জেডিইউ সরকারে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি বিজেপি সদস্য। তিনি সবসময়ই মাথায় পাগড়ি পরেন। এই বিষয়ে একবার তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে গেলেই তাঁর মাথা থেকে পাগড়িও খুলে যাবে।