Range Rover-র বদলে পুতিনকে নিয়ে Toyota Fortuner-এ কেন সওয়ার মোদী?

Narendra Modi and Vladimir Putin: নরেন্দ্র মোদী ও ভ্লাদিমির পুতিনের ফরচুনার ডিপ্লোমেসি? কেন নিজেদের জন্য বরাদ্দ গাড়ি ছেড়ে এশীয় সংস্থা টয়োটার গাড়িতে সওয়ার হলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান? দেশে তো বটেই, এই নিয়ে এখন শোরগোল বিশ্বজুড়ে।

Range Rover-র বদলে পুতিনকে নিয়ে Toyota Fortuner-এ কেন সওয়ার মোদী?
নরেন্দ্র মোদী ও ভ্লাদিমির পুতিনImage Credit source: TV9 Bharatvarsh

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Dec 05, 2025 | 8:07 PM

নয়াদিল্লি: ২ দিনের সফরে ভারতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিশেষ বন্ধুর জন্য প্রোটোকল ভেঙে বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে। ৭ লোককল্যাণ মার্গ থেকে নিজের রেঞ্জ রোভারের কনভয় নিয়েই বেরিয়েছিলেন। পুতিনের জন্য মস্কো থেকে দিল্লিতে উড়িয়ে আনা হয়েছিল তাঁর চলমান দুর্গ ‘অরাস সেনাত’-ও। বিমান থেকে নেমে মোদী ও পুতিন একে অপরকে আলিঙ্গন করলেন। তারপরই দেখা গেল এক নজিরবিহীন দৃশ্য। মোদীর আমন্ত্রণে নৈশভোজে যোগ দিতে দুই রাষ্ট্রপ্রধান সওয়ার হলেন সাদা রঙের টয়োটা ফরচুনারে। মুহূর্তে হইচই পড়ে যায়। এটা কি নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে? নাকি পিছনে রয়েছে গভীর কূটনৈতিক চাল? দেখা যায়, মোদী একা নন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-ও রুশ ডিফেন্স মিনিস্টারকে নিয়ে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে যান ফরচুনারে চেপেই।

এই গাড়ি কূটনীতি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনও কারণ কেন্দ্রের তরফে দেখানো না হলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, মোদীর মতো পাকা মাথার নেতা কখনই অকারণে কিছু করেন না। তাও আবার এমন এক সময় যখন ভারতের তো বটেই, আন্তর্জাতিক মিডিয়াও নজর রেখেছে মোদী-পুতিনের প্রতিটি কর্মকাণ্ডের দিকে। বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশ বলছেন, পুতিনকে সঙ্গে নিয়ে ফরচুনার সিগমা ৪ (এম টি) চড়ার পিছনে পশ্চিমি দেশগুলিকে, বিশেষত ইউরোপকে একটা স্পষ্ট বার্তা দিলেন মোদী ও পুতিন। আসলে টয়োটা জাপানি কোম্পানি। ফরচুনার উৎপাদন হয় ভারতেই। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে রাশিয়ার সঙ্গে একযোগে ভারতকেও বারবার চাপ দিয়েছে পশ্চিমী শক্তি। রুশ তেল কিনতে নিষেধ করেছে। তাই একটি অ-ইউরোপীয় সংস্থার গাড়িতে চেপে সেই পশ্চিমী শক্তিকেই পাল্টা বার্তা দিলেন দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু, মত বিশ্লেষকদের।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর অফিশিয়াল গাড়ির তালিকায় একটি রেঞ্জ রোভার ও একটি মার্সিডিজ মে-ব্যাক এস-৬৫০ রয়েছে। রেঞ্জ রোভার টাটা গোষ্ঠীর হলেও গাড়ি তৈরি হয় ব্রিটেনে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ব্রিটেন ও জার্মানি দুজনেই রাশিয়ার উপর নানা আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। কিভ-কে অস্ত্র সরবরাহ করার দেশের তালিকাতেও উপরের দিকে রয়েছে দুই দেশ। পুতিন ভারতে আসায় কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন ইউরোপের একাধিক নেতা। এই অবস্থায় পুতিন কোনও ইউরোপীয় সংস্থার গাড়িতে চাপলে, ভুল বার্তা যেতে পারত। দেখার মতো বিষয় হল, পুতিন ও মোদী যখন টয়োটা ফরচুনারে চেপে লোকল্যাণ মার্গের দিকে যাচ্ছিলেন, তখন পিছনে পিছন যাচ্ছিল পুতিনের অরাস সেনাত ও মোদীর ফরচুনার। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা একে বলছেন, ফরচুনার ডিপ্লোমেসি। তাঁদের মতে, এটা পশ্চিমী দেশগুলিকে ভারতের স্পষ্ট বার্তা, কোনও চাপের কাছে দিল্লি মাথা নত করবে না। বিজেপি মুখপাত্র শাহজাদ পুনাওয়ালা-ও ইঙ্গিৎপূর্ণ এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘কেন দুজনে মিলে টয়োটাতে চাপলেন, বুদ্ধিমান মাত্রই বুঝবে।’