AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

G20-র প্লেটে বাংলার রসগোল্লা! আর কী কী খাবার থাকছে বিদেশি অতিথিদের জন্য?

G20 summit 2023 Food menu: সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ খাওয়া-দাওয়া। তাই জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে বড় গুরুত্ব পাচ্ছে খাদ্যতালিকাও। ইতিমধ্য়েই জানা গিয়েছে, সোনার পরত দেওয়া রুপোর বাসনে পরিবেশন করা হবে বিদেশি অতিথিদের। পরিবেশনের আগে, সব খাদ্য পরীক্ষা করা হবে পরীক্ষাগারে। কিন্তু, প্লেটে শেষ পর্যন্ত কী খাদ্য থাকবে?

G20-র প্লেটে বাংলার রসগোল্লা! আর কী কী খাবার থাকছে বিদেশি অতিথিদের জন্য?
জি২০ অতিথিদের তালিকায় লিট্টি চোখা, ডাল বাটি চুর্মা, রসগোল্লা থেকে মশলা ধোসাImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2023 | 7:21 PM
Share

নয়া দিল্লি: শুরু হয়ে গিয়েছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের চূড়ান্ত কাউন্টডাউন। আজ থেকেই নয়া দিল্লিতে পা রাখা শুরু হচ্ছে বিভিন্ন দেশের ভিভিআইপিদের। জি২০ বৈঠক যেমন ভু-রাজনৈতিক তাৎপর্যের বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করার সুযোগ, তেমনই দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে সমগ্র বিশ্বের পরিচয় করিয়ে দেওয়ারও বড় প্ল্যাঠফর্ম। সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ খাওয়া-দাওয়া। তাই জি২০ শীর্ষসম্মেলনে বড় গুরুত্ব পাচ্ছে খাদ্যতালিকাও। ইতিমধ্য়েই জানা গিয়েছে, সোনার পরত দেওয়া রুপোর বাসনে পরিবেশন করা হবে বিদেশি অতিথিদের। পরিবেশনের আগে, সব খাদ্য পরীক্ষা করা হবে পরীক্ষাগারে। কিন্তু, প্লেটে শেষ পর্যন্ত কী খাদ্য থাকবে?

নেই ডিম-মাছ-মাংস: এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, আগত প্রতিনিধিদের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে ডিম, মাছ বা মাংস থাকবে না। বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতা এবং প্রতিনিধিদের ভারতের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী নিরামিষ খাদ্যপদ পরিবেশন করা হবে। খাদ্যপদের মধ্য দিয়ে ভারতের বৈচিত্রপূর্ণ সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হবে। আর, নিরামীষ খাদ্যপদের প্রধান আকর্ষণ হতে চলেছে বাজরা থেকে তৈরি বিভিন্ন খাবার। ২০২৩ সালকে ভারত ‘ইয়ার অব মিলেটস’ বা ‘বাজরার বছর’ হিসাবে উদযাপন করছে। তার প্রতিফলন থাকবে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের অতিথিদের খাদ্যতালিকাতেও।

জয়পুর হাউসে গ্র্যান্ড লাঞ্চ: সরকারী নৈশভোজের পাশাপাশি নয়া দিল্লির জয়পুর হাউসে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে আগত অতিথদের জন্য এক বিশাল দ্বিপ্রাহরিক ভোজেরও আয়োজন করা হয়েছে। এই ভোজে রাষ্ট্রপ্রধানদের ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী নিরামিষ খাদ্যপদ পরিবেশন করা হবে। এই অনুষ্ঠানেও স্পটলাইটে থাকবে বাজরা।

বাজরার বিশেষ থালি: পুষ্টিগুণে ভরপুর খাদ্যশস্য হিসেবে গোটা বিশ্বে বাজরাকে জনপ্রিয় করে তুলতে, ২০২৩ সালকে ‘বাজরার বছর’ হিসেবে ঘোষণা করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই অনুরোধ মেনেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। প্রধানমন্ত্রীর এই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে বাজরার তৈরি খাদ্যপদকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, বাজরার তৈরি বিশেষ থালি, বাজরার পোলাও এবং বাজরার ইডলির মতো খাদ্যপদ পরিবেশন করা হবে অতিথিদের। স্টার্টার থেকে মেইন কোর্স পর্যন্ত, প্রতিটি ধাপে খাদ্যপদের প্রচুর বিকল্প থাকবে। যে যেমনটা চাইবেন, খেতে পারবেন।

খাদ্যে ভারতের বৈচিত্র: ভারত বিশাল দেশ। এর প্রতিটি প্রদেশের ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য রয়েছে। খাদ্যের ক্ষেত্রেও এই বৈচিত্র ধরা পড়ে। জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে খাদ্যপদের এই বৈচিত্রতুলে ধরা হবে বিদেশি অতিথিদের সামনে। সূত্রের খবর, খাদ্যতালিকায় স্থান পেতে চলেছে রাজস্থানের ডাল-বাটি-চুর্মা, বাংলার রসগোল্লা, দক্ষিণ ভারতের বিশেষ মশলা ধোসা, বিহারের লিট্টি চোখা ইত্যাদি।

স্পেশাল স্ট্রিট ফুড: ভারতের স্ট্রিট ফুড সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। সেই কথা মাথায় রেখে স্ট্রিট ফুডেরও বিশাল আয়োজন রাখা হচ্ছে জি২০ অতিথিদের জন্য। ফুচকা, চটপটি চাট, দই বড়া, সিঙারার মতো বিভিন্ন ভারতীয় স্ট্রিটফুডের স্বাদ নিতে পারবেন আগত প্রতিনিধিরা।

ভারতীয় ‘ওয়েলকাম ড্রিঙ্কস’: বিভিন্ন হোটেলে বিদেশি অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য বিশেষ ওয়েলকাম ড্রিঙ্কসেও থাকবে ভারতীয়ত্বের ছোঁয়া। ভারতীয় কফি, চা, মিষ্টি, কেক, চকোলেট দিয়ে স্বাগত জানানো হবে তাঁদের। হোটেলগুলির খাদ্যপদেও ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় খাবার রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন শৈলির খাদ্যপদ থাকবে। হোটেলগুলির ব্রেকফাস্টেও বাজরার তৈরি খাবার থাকছে।

সব মিলিয়ে, শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি ভারতের অনন্য রন্ধন ও খাদ্য সংস্কৃতির সঙ্গে বিদেশি অতিথিদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার লক্ষ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।