India-China Letter: রাষ্ট্রপতির কাছে জিনপিঙের ‘গোপন চিঠি’! তারপরই বদলে গেল রসায়ন, কী লেখা তাতে?
China's Secret Letter to India: নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ভারতীয় এক আধিকারিককে সূত্র হিসাবে উল্লেখ করে লিখেছে, গত মার্চ মাসের চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভারতের রাষ্ট্রপতিকে ওই চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন। পরবর্তীতে দেশের রাষ্ট্রপতি হয়ে তা পৌঁছে গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে।

নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নয়, বেজিং থেকে মুখ বন্ধ খামে গোপন চিঠি সেদিন এসেছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। কিন্তু বেজিং থেকে হঠাৎ চিঠি আসার কারণ কী? কে পাঠিয়েছিলেন? ওয়াকিবহাল মহল বলছে, গালোয়ান সংঘর্ষের বছর পাঁচেক পর ভারত চিন সম্পর্কের রসায়নে হঠাৎ যে পরিবর্তনগুলি হচ্ছে, তার সূচনা ওই চিঠিটাই।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ তাদের একটি প্রতিবেদন নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ভারতীয় এক আধিকারিককে সূত্র হিসাবে উল্লেখ করে লিখেছে, গত মার্চ মাসের চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভারতের রাষ্ট্রপতিকে ওই চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন। পরবর্তীতে দেশের রাষ্ট্রপতি হয়ে তা পৌঁছে গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে। আর এই ঘটনার মাস কয়েক পরে সংঘাতপূর্ণ সম্পর্ককে পিছনে ফেলে নতুন করে সম্পর্ক গড়ার কাজে লেগে পড়ে ভারত ও চিন।
কিন্তু একটা চিঠি রাতারাতি সব সম্পর্ক বদলে দিতে পারে কি? এই চিঠি তো আর কোনও কলহে জড়ানো প্রেমিক-প্রেমিকার নয়। কিংবা কোনও দুই বন্ধুরও নয়। এটা একটা কূটনৈতিক স্তরের গোপন চিঠি। ব্লুমবার্গের ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী সেই চিঠিতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক কতটা স্বাভাবিক করা যায়, সেই নিয়েই বার্তা দিয়েছিলেন শি জিনপিং। কারণ একটা শুল্কাঘাতে জ্বলছে একের পর এক দেশ। জ্বলছে ভারত, জ্বলছে চিনও। এই পরিস্থিতিতে দুই পড়শি রাষ্ট্রের আরও কাছাকাছি আসা অনেকটাই প্রয়োজন বলে মনে করে বেজিং।
অবশ্য এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, যখন বেজিং এই চিঠি পাঠিয়েছিল সেই সময় ভারতের উপর শুল্কের মার একদমই পড়েনি বললেই চলে। ট্রাম্পের আচরণ ছিল সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধুটার মতো। কিন্তু সময় সে যে বড় কাল। ঘুরল সময়ের চাকা, ট্রাম্প বদলালেন রূপ। ভারতের উপর চাপানো হল ৫০ শতাংশ শুল্ক। তা হলে কি শি জিনপিং আভাসটা আগেই পেয়েছিলেন? হয়তো তাই।
