AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Yusuf Pathan: বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হবে, ইউসুফের থেকে জমি পুনরুদ্ধারে পুরসভাকে নির্দেশ হাইকোর্টের

Yusuf Pathan: আদালতে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন এজিপি সুমন মোটলা, পৌরসভার তরফে সওয়াল করেন আইনজীবী মৌলিক নানাভাটি, মামলাকারীর তরফে আইনজীবী ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী যাতিন ওজা, শ্যাম এম শাহ, জয় এস শাহ।

Yusuf Pathan: বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হবে, ইউসুফের থেকে জমি পুনরুদ্ধারে পুরসভাকে নির্দেশ হাইকোর্টের
ইউসুফ পাঠানImage Credit: TV9 Bangla
| Updated on: Sep 12, 2025 | 11:01 PM
Share

গুজরাট:  জমি মামলায় আদালতে অস্বস্তিতে তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠান। সাংসদের দখল করা জমি পুনরুদ্ধারের জন্য কর্পোরেশনকে  নির্দেশ দিল গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি মউনা এম ভট্ট। তান্ডালজায় তৃণমূল সাংসদের বিরাট বাংলো সংলগ্ন একটি জমি নিয়ে মামলা দীর্ঘদিনের ৷ অভিযোগ ওঠে, সরকারি অনুমতি না-থাকা সত্ত্বেও বাংলো সংলগ্ন সরকারি জমিতে আস্তাবল গড়েছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ৷

এদিন আদালতে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন এজিপি সুমন মোটলা, পৌরসভার তরফে সওয়াল করেন আইনজীবী মৌলিক নানাভাটি, মামলাকারীর তরফে আইনজীবী ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী যাতিন ওজা, শ্যাম এম শাহ, জয় এস শাহ।

এর আগে বরোদা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তরফে সংশ্লিষ্ট জমি খালি করার জন্য সাংসদকে নোটিস পাঠানো  হয়েছিল। কিন্তু সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে ২০২৪ সালের ৬ জুন গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পাঠান ৷ কিন্তু হাইকোর্ট শেষমেশ রায় দিল কর্পোরেশনের পক্ষেই ৷ ফলত অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট জমি খালি করতে হবে পাঠানকে ৷

গুজরাট পুরসভার অধীকৃত ৯৭৮ স্কোয়ার মিটার জমি নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। অভিযোগ, তিনি ওই জমির চারপাশে দেয়াল তোলেন এবং প্লটটি নিজের সম্পত্তির মতো ব্যবহার করছিলেন। এদিকে ২০১২ সালে পাঠান পুরসভার ওই জমিটিকে কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তৎকালীন বাজারদর হিসাবে।  প্রতি বর্গমিটারে ৫৭ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন তিনি। বোর্ডের বৈঠকে তা অনুমোদন হয়েছিল, কিন্তু রাজ্য সরকার পরে অনুমোদন দেয়নি। বেআইনিভাবে জমি জবরদখল করা হয়েছে, এই মর্মে তৎকালীন বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় পাওয়ার অভিযোগ আনেন ৷ ফলত বিষয়টি রাজ্য সরকারের কাছে পৌঁছয় এবং পরবর্তীতে ইউসুফের আবেদন গৃহীত হয় না।

পুরসভা পাঠানকে এরপর নোটিস পাঠিয়েছিল, দেওয়াল সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয় এবং জমিটি ফেরত দেওয়ার দাবি করে। এই বিতর্ক চলতেই থাকে। এর মাঝে ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হন ইউসুফ।  নির্বাচনী ফল প্রকাশের পর VMC তাকে নোটিস দেয় যে, তিনি পৌরসভা মালিকানাধীন ওই প্লট দখল করেছেন এবং ১৫ দিন মধ্যে তাঁকে সরে যেতে হবে। পাঠান তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান।

এদিনের শুনানিতে বিচারপতির তরফ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, ইউসুফ পাঠান অবৈধভাবেই পৌরসভার জমি দখল করে রেখেছিলেন। পুরসভাকে তা পুনরুদ্ধারের জন্য আর কোনও নোটিস দেওয়ার প্রয়োজন নেই। বুলডোজার নিয়েই জমি পুনরুদ্ধার করতে পারবে পুরসভা।

এদিনের মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ, এখানে মামলাকারী একজন জনপ্রতিনিধি এবং একজন সেলিব্রেটিও। তাঁরা যে কোনও কাজকর্মের প্রভাবই সমাজে পড়বে। তাই আইন মেনে চলা ও  এবিষয়ে তাঁর গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল।