সঙ্গমে সাবধান, দেশে থাবা বসিয়েছে জিকা ভাইরাস
জ্বর, মাথাব্যথা ও চামড়ায় লাল দাগের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় পর প্রাথমিক পরীক্ষার পর তাঁর শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়।
নয়া দিল্লি: এমনিতেই দেশ করোনা (COVID 19) থাবায় বিধ্বস্ত। দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হলেও চোখ রাঙাচ্ছে তৃতীয় ঢেউ। তার মধ্যেই দেশে হাজির জিকা ভাইরাস। কেরলে এই ভাইরাসে সংক্রমণের হদিশ মিলেছে। খোদ সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ সে বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। একজন ২৪ বছর বয়সী গর্ভবতী মহিলার শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। ওই মহিলা তিরুবনন্তপুরমের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
জ্বর, মাথাব্যথা ও চামড়ায় লাল দাগের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় পর প্রাথমিক পরীক্ষার পর তাঁর শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এখন তাঁর নমুনা পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছে। ২৮ জুন তাঁর শরীরে জিকা ভাইরাস ধরা পড়েছিল। ৭ জুলাই তিনি সন্তানের মা হয়েছেন। তিনি ও সন্তান দু’জনেই সুস্থ আছে বলে জানা গিয়েছে।
চিকিৎসকদের সন্দেহ, তিরুবনন্তপুরমের অন্তত ১৩ জন এই জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি থেকে রিপোর্ট এলে তবেই এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ। মূলত মশার কামড়েই ছড়ায় জিকা ভাইরাস। দিনের বেলায় মশার কামড়ে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া সঙ্গম ও রক্তের মাধ্যমেও এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। খুব একটা মারাত্মক না হলেও এই সংক্রমণের ক্ষেত্রে গর্ভবতী মায়ের শিশু অস্বাভাবিকত্ব নিয়ে জন্মাতে পারে।
আরও পড়ুন: নাড্ডার ১ ফোনেই পদত্যাগ ১১ মন্ত্রীর, ঠিক কী হয়েছিল?