Honey Trap: প্রথমে ঘনিষ্ঠতা, তারপর গোপন ছবি পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেল, হাতে নাতে ধরল পুলিশ
Honey Trap: এভাবেই নাকি গৃহবধূদের হানি ট্র্যাপে ফেলতেন ওই যুবক। অভিযোগের ভিত্তিতে যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ।
বিধাননগর : ফের হানি ট্র্যাপের অভিযোগ। হানি ট্র্যাপের কবলে পড়লেন এক গৃহবধূ। তাঁর স্বামী অভিযোগ করার পর ৩৭ দিনের মাথায় গ্রেফতার করা হল মূল অভিযুক্তকে। শনিবার অভিযুক্ত জমিরউদ্দিন গাজীকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাজারহাট থানা এলাকার বাসিন্দা মিন্টু আলি ২৫ সেপ্টেম্বর বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় এসে অভিযোগ জানান। তিনি জানান, যে চলতি বছরের মে মাসে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব হয় তামিম খান নামের এক যুবকের। সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্বের পর ওই যুবকের গৃহবধূর সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা ক্রমশ বাড়তে থাকে। অভিযোগ, পরবর্তীতে গৃহবধূর বেশ কিছু গোপন মুহূর্তের ছবি আদায় করে নেয় সেই যুবক।
এরপরই ওই গৃহবধূকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকেন ওই অভিযুক্ত যুবক। গৃহবধূ পুরো ঘটনা তাঁর স্বামীকে জানান। অভিযুক্ত তাঁর স্বামীর কাছে গৃহবধূর গোপন মুহূর্তের ছবি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠিয়ে টাকা দাবি করেন। অভিযোগ, টাকা না দিলে নিষিদ্ধ ওয়েবসাইটে ছবি প্রকাশ করে দেওয়ার ভয় দেখান অভিযুক্ত। বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় এই অভিযোগ জানান স্বামী মিন্টু আলি।
ঘটনার তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ জানতে পারে চন্দননগর এলাকার বাসিন্দা জমিরউদ্দিন গাজি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ফেক প্রোফাইল তৈরি করে হানি ট্র্যাপে ফেলতেন গৃহবধূদের। পুলিশ সূত্রে খবর, এই অভিযুক্ত নাগেরবাজার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। সেই বাড়িতে পুলিশ হানা দিলে সেখান থেকে অভিযুক্ত পালিয়ে যায় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
অবশেষে ৩৭ দিনের মাথায় মূল অভিযুক্ত জমিরউদ্দিন গাজিকে গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে এই হানি ট্র্যাপে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই ঘটনায় এই অভিযুক্তের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা সেটা তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।