কলকাতা: ‘নিয়ে যান, নিয়ে যান, নিয়ে যান। ১০টা কেজি আলু, ১০ টাকা কেজি আলু।’ বিধানসভার সামনে দাঁড়িয়ে এদিন এভাবেই আলু বিক্রি করতে দেখা গেল শুভেন্দু অধিকারীকে। শুধু শুভেন্দু একা নন, যোগ্য সঙ্গত দিলেন অগ্নিমিত্রা পাল, শঙ্কর ঘোষেরা। সঙ্গ দিলেন দলের অন্যান্য বিধায়কেরাও। প্রসঙ্গত, আলুর চড়া দামে নাজেহাল রাজ্যবাসী। বিগত কয়েক সপ্তাহে রাজ্যের নানা প্রান্তে ৫০ টাকা কেজিতেও বিকিয়েছে আলু। অন্যদিকে আবার আলু রফাতানিকে তালা পড়ায় পথে বসেছেন আলুর চাষীরা। দাম না পেয়ে রাস্তায় আলু ফেলে প্রতিবাদের রাস্তাতেও হেঁটেছেন। এরইমধ্যে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে অভিনব প্রতিবাদে নামলেন শুভেন্দুরা। শুধু আলু নয়, অন্যান্য শাক-সবজির চড়া দাম নিয়েও চলল প্রতিবাদ।
বিধানসভার গেটে ভিড় করে আলু বিক্রি করতে দেখা যায় বিজেপি বিধায়কদের। রাস্তার মধ্যেই বসে পড়েন অগ্নিমিত্রা পাল। ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্য সরকারের উপর। রাজপথে বসেই বলেন, “৪০ টাকা কেজি আলু। কিন্তু ওরা বলছেন ২৮ টাকা কেজি। মন্ত্রীরা কোন রাজ্যে থাকেন? নাটকবাজি বন্ধ করুন মুখ্যমন্ত্রী। আপনি কিছু করতে পারবেন না তো। মিডলম্যান সব টাকা নিয়ে নিচ্ছে। চাষীরা টাকা পাচ্ছে না। আর মিডলম্যানরা হচ্ছে মমতার ক্যাডার। ” ততক্ষণে স্লোগান তুলে দিয়েছেন শুভেন্দুরা। একযোগে বলতে থাকেন, “এত দাম খাব কী! দেড়শো টাকা কেজি কাঁচা লঙ্কা করলো কে? মমতা আবার কে! বিদ্যুতের বিল বাড়াল কে? মমতা আবার কে!”
এদিন আবার বিধানসভার অন্দরে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। সেই প্রস্তাব পড়তেও দেন স্পিকার। চলল আলাপ-আলোচনা। সবজির দাম নিয়ে যখন কথা হচ্ছে তখন আবার শুভেন্দু অধিকারী ও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। এরইমধ্যে বিজেপি বিধায়কেরা ওয়াকআউট করে বাইরে চলে আসেন। স্পিকার বলছেন, “ওদের অভিযোগ ছিল ওদের নাকি আলোচনা করার সুযোগ দেওয়া হয় না। কিন্তু, আজ তো আলোচনা হল। তারপরেও ওরা যে চলে গেল। এটা অনভিপ্রেত।”