AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jnaneswari Express: ১৪ বছর আগের ঘটনায় এখনও বিচার শেষ হয়নি, জ্ঞানেশ্বরী-কাণ্ডে জামিন ১১ জনের

Jnaneswari Express: ঘটনার দিন হাওড়া-কুরলা লোকমান্য তিলক জ্ঞানেশ্বরী সুপার ডিলাক্স এক্সপ্রেস নামে ওই ট্রেনটি হাওড়া থেকে মুম্বইয়ের দিকে যাচ্ছিল। রাত দেড়টা নাগাদ ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়।

Jnaneswari Express: ১৪ বছর আগের ঘটনায় এখনও বিচার শেষ হয়নি, জ্ঞানেশ্বরী-কাণ্ডে জামিন ১১ জনের
ফাইল ছবি
| Edited By: | Updated on: Feb 28, 2023 | 7:44 PM
Share

কলকাতা : জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস (Jnaneswari Express) দুর্ঘটনার মামলায় ১১ জনকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সন্দেহভাজন মাওবাদী হিসেবে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে সিবিআই-কে ভর্ৎসনা করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক। ১৪ বছর আগের ঘটনায় কেন এখনও বিচার শেষ হয়নি, কেন সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করা যায়নি? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। অভিযোগ প্রমাণিত না হলে অভিযুক্তদের এভাবে বছরের পর বছর আটকে রাখা যায় না বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। ২০১০ সালের ২৮ মে পশ্চিম মেদিনীপুরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়ে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। মৃত্যু হয় ১৪১ জন যাত্রীর। সেই ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই।

এদিন সিবিআইকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, ‘ভুলে যাবেন না অভিযুক্তদেরও মৌলিক অধিকার রয়েছে। বিনা বিচারে ওইভাবে তাঁদের আটকে রাখা যায় না। ১০ বছরের বেশি তাঁরা জেল খাটছেন।’ এরপরেই ১১ জন অভিযুক্তকে জামিন দেয় হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদি ও বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল শুনানি।

এই মামলায় আরও বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে জামিন দিয়েছিল উচ্চ আদালত। এদিন যাঁদের জামিন দেওয়া হল, তাঁরা হলেন, ভোলানাথ মাহাতো, রাম মুদি, অমিয় মাহাতো, মহন্ত মাহাতো, সুনীল মাহাতো, মনোজ মাহাতো, লক্ষ্মীকান্ত রায়, জয়দেব মাহাতো, মানিক মাহাতো, জলধর মাহাতো ও খগেন মাহাতো।

ঘটনার দিন হাওড়া-কুরলা লোকমান্য তিলক জ্ঞানেশ্বরী সুপার ডিলাক্স এক্সপ্রেস নামে ওই ট্রেনটি হাওড়া থেকে মুম্বইয়ের দিকে যাচ্ছিল। রাত দেড়টা নাগাদ ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এরপরই উল্টোদিক থেকে আসা একটি মালগাড়ি লাইনচ্যুত ট্রেনটিতে ধাক্কা মারে। কার্যত মণ্ডে পরিনত হয় ট্রেনের কোচগুলি। ঘটনার পর কয়েকদিন ধরে চলেচিল উদ্ধারকাজ। উদ্ধার হয়েছিল একের পর এক মৃতদেহ। তদন্তে উঠে এসেছিল ট্র্যাকের বেশ কিছুটা অংশ সরিয়ে নেওয়া হয়। দুর্ঘটনায় প্রথম থেকেই অভিযোগ ছিল মাওবাদীদের বিরুদ্ধে।