কলকাতা: তোলা না পেয়ে অপহরণ (Kidnap) করা হয়েছে তিন ইঞ্জিনিয়ারকে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ জানিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ইমেল করেছেন এক শিল্পপতি। আর সেই ইমেলের ছবি প্রকাশ করে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। শুক্রবার টুইটে সেই ইমেইলের ছবি পোস্ট করেছেন তিনি, সঙ্গে একটি ভিডিয়োতে অভিযোগের বিবরণ দিয়েছেন সাংসদ। তাঁর দাবি, যে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে, তিনি ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্রের ঘনিষ্ঠ। হুগলির দাদপুর থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন ওই শিল্পপতি।
হুগলির ধনেখালি এলাকার ঘটনা। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধারে ওই শিল্পপতির কারখানা বলে জানা গিয়েছে। যে ইমেলের ছবি এ দিন লকেট টুইটারে পোস্ট করেছেন, সেই ইমেল মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন মহেশ আগরওয়াল নামে এক শিল্পপতি। বিধায়কের নাম করে তোলা চাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম রাজীব বসু রায়। শুধু তোলা চাওয়াই নয়, সেই তোলা না পেয়ে তিন ইঞ্জিনিয়ারকে কিডন্যাপ করা হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেছেন তিনি। অভিযোগ, শুক্রবার সকালে তাঁদের অফিসের সামনে এসে পীযূষ কান্তি পোড়াল, তন্ময় বণিক ও সুদীপ সরকার নামে তিন ইঞ্জিনিয়ারকে অপহরণ করা হয়েছে।
ইমেলে উল্লেখ করা হয়েছে, কিছুদিন আগে শিল্পপতির অফিসে এসে ৫০ হাজার টি-শার্ট চাওয়া হয়েছিল। রাজীব বসু রায় নামে ওই তৃণমূল নেতা বিধায়ক অসীমা পাত্রের নাম করে তোলা হিসেবে এই টি-শার্ট চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এই টি-শার্টের মোট মূল্য ৩৫ লক্ষ টাকা। সেটা দেওয়া হয়নি বলেই তিন ইঞ্জিনিয়ারকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগে জানিয়েছেন শিল্পপতি মহেশ আগরওয়াল।
ইতিমধ্যেই দাদপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। পাশাপাশি পুলিশ সুপার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইমেল মারফৎ অভিযোগের কথা জানিয়েছেন শিল্পপতি। স্থানীয় সূত্রে খবর অসীমা পাত্রের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তৃণমূল নেতা রাজীব বসু রায়। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিধায়ক অসীমা বসু। তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের কাউকে চেনেন না তিনি। উল্টে তাঁর নাম সামনে আনা হয়েছে বলে শিল্পপতির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিধায়ক। অন্যদিকে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘আবগারি কর্তা’ ওয়াইন শপের লাইসেন্স করে দেবেন বলে ১৭ লক্ষ টাকা নেন! তারপর…
শিল্পপতি মহেশ আগরওয়ালের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এখন হাইওয়েতে গাড়ি চালাচ্ছি। ফোনে কথা বলতে পারব না।’ Tv9 বাংলার তরফে তাঁকে এসএমএস পাঠানো হয় তাঁর বক্তব্য জানার জন্য। রাত পর্যন্ত তিনি কোনও জবাব দেন নি।
আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রী না বাটপাড়! লোকে তো কনফিউজ হয়ে যাবে’