Fraud Arrest: ‘আবগারি কর্তা’ ওয়াইন শপের লাইসেন্স করে দেবেন বলে ১৭ লক্ষ টাকা নেন! তারপর…
Maheshtala: ভাগ্যধর বেরা এই মর্মে মহেশতলা থানায় অভিযোগও দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে এক মহিলার নাম।
কলকাতা: আবগারি কর্তা পরিচয় দিয়ে ১৭ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেফতার করেছে ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) পুলিশ জেলার আধিকারিকরা। একই সঙ্গে এক মহিলাও গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি আবার রাজনীতি করেন বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহেশতলা পুরসভার অন্তর্গত বাটানগর হেতালখালির বাসিন্দা ভাগ্যধর বেরা নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীর থেকে মদের দোকান ও বারের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হয়।
ভাগ্যধর বেরা এই মর্মে মহেশতলা থানায় অভিযোগও দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে এক মহিলার নাম। তিনি আবার রাজনীতিও করেন বলে সূত্রের খবর। ওই মহিলাই ভাগ্যধর বেরাকে পিনাকী চন্দ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন বলে অভিযোগ।
২০১৯ সালে এই পরিচয় করান। পিনাকী চন্দ নামে ওই ব্যক্তি উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। অভিযোগ, ওই মহিলার উপস্থিতিতেই ভাগ্যধরবাবুর সঙ্গে পিনাকী চন্দের লিখিত চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী, বার-সহ মদের দোকানের লাইসেন্স করিয়ে দেবেন বলে দফায় দফায় ১৭ লক্ষ টাকা পিনাকী চন্দ নেন বলে অভিযোগ।
এদিকে মহেশতলা থানার পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারেন পিনাকী চন্দ নামে ওই ব্যক্তি উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ থানার অন্তর্গত পানিহাটির একজন জমির দালাল। কিন্তু কোনওভাবেই পিনাকীকে গ্রেফতার করা যাচ্ছিল না। এরপরই ওই মহিলাকেই সামনে রেখে অভিযান চালায় পুলিশ। মিলেনিয়াম পার্কের সামনে থেকে পাকড়াও করা হয় অভিযুক্তকে। পাশাপাশি ওই মহিলাকেও ধরেছে পুলিশ।
ভাগ্যধর বেরার অভিযোগ, “পিনাকী চন্দ ওয়াইন শপ করে দেবেন বলে আমার থেকে ধাপে ধাপে ১৭ লক্ষ টাকা নেন। আমাকে বলেছিলেন এক্সাইজ ডিপার্টমেন্টে কাজ করেন। বলে জানতে পারি পুরোটাই মিথ্যা। যে মহিলা ধরা পড়েছেন তাঁর মাধ্যমেই এই পিনাকীর সঙ্গে পরিচয়। আমার শাড়ির দোকান রয়েছে। ওই মহিলা আমার কাছ থেকে শাড়ি কিনতেন। আমি তিন বছর ধরে ঘুরছি টাকা দেওয়ার পর। এরপরই মহেশতলা থানায় জানাই।” মহেশতলা থানার পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে।
আরও পড়ুন: কালীপুজো, ছট উপলক্ষে আবারও শিথিল হল রাতের বিধি নিষেধ