TMC MP: ‘মালকড়ি চাইছে… তিন লাখ’, তৃণমূল বিধায়ক মুকুটমণির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ, অডিয়ো ভাইরাল
Mukut Mani Adhikari: গত বছরের মার্চ মাসে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন মুকুটমণি অধিকারী। তাঁর বিরুদ্ধেই উঠেছে অভিযোগ। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক।

সৌরভ গুহ ও মহাদেব কুণ্ডুর রিপোর্ট
কলকাতা: ব্লক সভাপতি পদ দেওয়ার জন্য টাকা চাওয়া হচ্ছে, এমন অভিযোগে জড়াল তৃণমূল বিধায়কের নাম। রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী গত বছর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। একটি ভাইরাল অডিয়োতে উঠে এসেছে সেই মুকুটমণির বিরুদ্ধেই টাকা চাওয়ার অভিযোগ। অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা। মুকুটমণি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
একটি অডিয়োতে শোনা যাচ্ছে, দুই ব্যক্তির কথোপকথন। শুনে মনে করা হচ্ছে, তাঁরা তৃণমূলের নেতা বা কর্মী। তাঁরা বারবার বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা তৃণমূল দলের সদস্য। তবে ব্লক বা টাউন সভাপতি হিসেবে তাঁরা জায়গা পাবেন কি না, তা নিয়ে তাঁরা সন্দিহান। কথায় কথায় তাঁদের মধ্যে একজন দাবি করেছেন, তিনি মুকুটমণির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। কথাবার্তাও হয় স্বাভাবিকভাবেই। কিন্তু সব শেষে আসে টাকার কথা।
ফোনের আর এক পারের ব্যক্তি যখন জিজ্ঞেস করেন, ‘কে টাকা চাইল মুকুট?’, উত্তর আসে, ‘ না না মুকুট চায়নি। প্রিন্স বলে একটা ছেলে ওর সঙ্গে থাকে, ওর পিএ। সেই টাকা চাইল।’ ব্লক সভাপতি পদ দেওয়ার জন্য এখ ব্যক্তির কাছে তিন লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই দুই ব্যক্তির দাবি, একজন ব্লক বা টাউন সভাপতি হয়ে কি ওই তিন লক্ষ টাকা তোলা সম্ভব হবে? একজনের মুখে একথাও শোনা যাচ্ছে, ‘প্রিন্সকে দিয়ে বলানোর কী দরকার ছিল, ও নিজেই টাকা চাইতে পারত।’
এই অডিয়ো ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ফোনের দুই পারে থাকা ব্যক্তিদের পরিচয় সামনে আসেনি। তবে এই পুরো ঘটনা অস্বীকার করে মুকুটমণি দাবি করেছেন, আইনি পথে হাঁটবেন তিনি। মুকুটমণি অধিকারীর দাবি তৃণমূল কংগ্রেসকে কলুষিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানান যারা এই অডিয়ো প্রকাশ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন তিনি। তিনি আরও বলেন, “প্রিন্স অধিকারীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। সত্যতা যাচাই না করে পরিকল্পনা করে এই কাজ করা হয়েছে। কারণ ২০২৬ এর লড়াইয়ে সুবিধা না করতে পারার ভয় থেকে বিরোধী শক্তি ও কিছু কিছু দুর্বৃত্ত গোষ্ঠী আমাকে এবং তৃণমূল-কংগ্রেসকে কলুষিত করার চেষ্টা করেছে।”
এই ঘটনায় যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই প্রিন্স এই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। অন্যদিকে, বিজেপির মুখপাত্র সোমনাথ কর বলেন, “তৃণমূল এমন একটি দল যারা টাকা নিয়ে পদ বিক্রি করে, আর সেটাই এই ফোন রেকর্ডের মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত।”
