Women Thieves Gang: শহরে মহিলা চোরদের গ্যাং, গৃহস্থের বাড়িতে সিঁধ কাটার সরঞ্জাম দেখলে মুখ হাঁ হয়ে যাবে
Women Thieves Gang: আজ সকালে হরিদেবপুরের মুচিপাড়া এলাকায় নাকা চেকিং চালাচ্ছিল পুলিশ। অন্যান্য দিনের মতোই নাকাচেকিং চলছিল। সতর্ক নজরদারি চালাচ্ছিলেন পুলিশকর্মীরা। সেই সময়েই এই তিন মাঝবয়সি মহিলার গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় ডিউটিতে থাকা পুলিশকর্মীদের।

কলকাতা: চোরের উপদ্রব নিয়ে কিছুদিন আগেই মুখ খুলেছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শহরের অর্ধেক সিসিটিভি ক্যামেরা বিকল হয়ে পড়ে থাকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। কলকাতার মহানাগরিকের সেই মন্তব্যের পর বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছিল এলাকায়। আর আজ পুলিশের হাতে ধরা পড়ল মহিলা চোরের দল। শুক্রবার সকালে চোর সন্দেহে তিন মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হরিদেবপুর থানার পুলিশের হাতে আজ গ্রেফতার হয় ওই তিন মহিলা।
জানা যাচ্ছে, আজ সকালে হরিদেবপুরের মুচিপাড়া এলাকায় নাকা চেকিং চালাচ্ছিল পুলিশ। অন্যান্য দিনের মতোই নাকাচেকিং চলছিল। সতর্ক নজরদারি চালাচ্ছিলেন পুলিশকর্মীরা। সেই সময়েই এই তিন মাঝবয়সি মহিলার গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় ডিউটিতে থাকা পুলিশকর্মীদের। সন্দেহভাজন ওই তিন মহিলার দিকে পুলিশ এগিয়ে যেতেই তারা পালানোর চেষ্টা করে। দু’জন মহিলা সেই সময় পালিয়ে গেলেও একজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন পুলিশকর্মীরা।

বাজেয়াপ্ত হওয়া সামগ্রী
ধৃত মহিলাকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। তাতে সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় সন্দেহ আরও বাড়ে পুলিশের। মহিলার সঙ্গে একটি ঝোলা জাতীয় ব্য়াগ ছিল। সন্দেহ বাড়তে সেই ব্যাগটিও তল্লাশি করেন নাকা চেকিংয়ের দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা। আর তাতেই বেরিয়ে আসে বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম। পুলিশের সন্দেহ, চুরি করার কাজে ব্যবহৃত হত ওই জিনিসগুলি।
জানেন কী কী সরঞ্জাম ব্যবহার হত? দু’টি দুই ধরনের শাবল। একটির মাথা বাঁকানো, অন্যটি সোজা। একটি ছেনি জাতীয় বস্তু। আর দুটি স্ক্রু ড্রাইভার। একটি সোজা, একটির মাথা কিছুটা বাঁকানো। পুলিশের সন্দেহ, এই শাবল, স্ক্রু ড্রাইভার ও অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার করে রাতে গৃহস্থের বাড়ির দরজা বা জানালার অংশ ভেঙে ঘরের ভিতর থেকে জিনিসপত্র চুরি করা হত। সঙ্গে সঙ্গে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে নেওয়া হয়। ধৃত মহিলাকে জেরা করে পরে বাকি দুইজন মহিলাকেও পাকড়াও করে পুলিশ। তিনজনকে জেরা করে এই গ্যাংয়ের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা করছেন হরিদেবপুর থানার তদন্তকারী পুলিশকর্মীরা।
