Calcutta High Court: ১ টাকায় সৌরভকে ৩৫০ একর জমি রাজ্যের! জনস্বার্থ মামলা গেল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চে
Calcutta High Court: প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় ফিল্মসিটি তৈরির জন্য প্রয়াগ গ্ৰুপকে ৭৫০ একর জমি দিয়েছিল রাজ্য। ২৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগও করে প্রয়াগ গ্ৰুপ। জমি-সহ ওই প্রকল্পের সামগ্রিক খরচের জন্যই ওই প্রাথমিক বরাদ্দ বলে শোনা যায়।
কলকাতা: কীভাবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Sourav Gangopadhyay) কারখানা তৈরি করতে এক টাকায় ৯৯৯ বছরের জন্য জমি লিজ দেওয়া হয়েছে? উঠেছিল প্রশ্ন। পশ্চিম মেদিনীপুরে ওই কারখানা তৈরির জন্য এক টাকায় জমি দেওয়ার বিরুদ্ধে হওয়া জনস্বার্থ মামলার কথা আগেই শোনা গিয়েছিল। সেই মামলা বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে পাঠাল কলকাতা হাইকোর্ট। চিটফান্ড সংক্রান্ত বিষয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা শুনবে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানাচ্ছে, চিটফান্ড সংক্রান্ত এই মামলা ইতিমধ্যেই শুনছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ। সে কারণে তিনিই জনস্বার্থ মামলাটিও শুনবেন।
প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় ফিল্মসিটি তৈরির জন্য প্রয়াগ গ্ৰুপকে ৭৫০ একর জমি দিয়েছিল রাজ্য। ২৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগও করে প্রয়াগ গ্ৰুপ। জমি-সহ ওই প্রকল্পের সামগ্রিক খরচের জন্যই ওই প্রাথমিক বরাদ্দ বলে শোনা যায়। পরবর্তীতে চিটফান্ড কাণ্ডে ওই সংস্থার নাম জড়ায়। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়। অভিযোগ ওঠে, আমানতকারীদের কাছ থেকে তোলা হয়েছিল ২৭০০ কোটি টাকা। সেটাই ফিল্মসিটি তৈরির জন্য বিনিয়োগ করেছিল প্রয়াগ গ্ৰুপ।
এরইমধ্যে চিটফান্ড কাণ্ডে নাম জড়াতেই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে। আমানতকারীদের টাকা ফেরাতে প্রয়াগ গ্ৰুপের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সরকার। এর মধ্যে চন্দ্রকোনার ৭৫০ একর জমিও ছিল। এখন ওই জমির মধ্যে প্রায় ৩৫০ একর জমি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেয় সরকার। ১ টাকায় ৯৯৯ বছরের জন্য লিজে দেওয়া হয়। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন শেখ মাসুদ নামে এক আমানতকারী। উদ্বিগ্ন তাঁর আইনজীবী শুভাশিস চক্রবর্তীও। তিনি বলছেন, “প্রয়াগ গ্ৰুপের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের। সেই মতো চন্দ্রকোনার ওই জমি বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা ফেরানো দরকার। কিন্তু সরকার সেটা করছে না। উল্টে সৌরভকে কারখানা তৈরি করতে এক টাকায় ৯৯৯ বছরের জন্য ওই জমির একটা বড় অংশ লিজে দিল। কী করে করল এটা?” অন্যদিকে মামলা চলাকালীন সময়েও কীভাবে জমি হস্তান্তর হল সেই প্রশ্নও উঠেছে। এমনকী সৌরভের কারখানার বাস্তাবায়ন নিয়েও সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করে দিয়েছেন অনেকে।