Fraudster in Kolkata: লোন কিংবা টাওয়ার বসানোর নামে কেউ ফোন করছে? সতর্ক থাকুন, ওপারে ওৎ পেতে বসে থাকতে পারে প্রতারক

Fraud cases in Kolkata: পুলিশ সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারি মাসে একবালপুর থানায় প্রতারণার শিকার হওয়া এক মহিলা অভিযোগ দায়ের করেন। লোন দেওয়ার নাম করে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি এই একই অভিযোগ আসে পোর্ট ডিভিশনের আরও বেশ কিছু থেকে।

Fraudster in Kolkata: লোন কিংবা টাওয়ার বসানোর নামে কেউ ফোন করছে? সতর্ক থাকুন, ওপারে ওৎ পেতে বসে থাকতে পারে প্রতারক
পুলিশে হাতে ধরা পড়েছে অভিযুক্তরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 16, 2022 | 10:10 PM

কলকাতা : লোন ও টাওয়ার বসানোর নাম করে আর্থিক প্রতারণা। ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের সাইবার সেল পোর্ট ডিভিশন। গ্রেফতার করা হয়েছে এই আর্থিক প্রতারণার মূল চক্রী প্রভাত ভরদ্বাজকে। পাশাপাশি ১০৮টি মোবাইল, ২৭ হাজার টাকা নগদ, দুটি ল্যাপটপ, ৫০টি সিমকার্ডও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সূত্র মারফত খবর পেয়ে শনিবার নাগেরবাজার এলাকায় হানা দেন পুলিশকর্মীরা। আর তাতেই আসে সাফল্য। পুলিশ সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারি মাসে একবালপুর থানায় প্রতারণার শিকার হওয়া এক মহিলা অভিযোগ দায়ের করেন। লোন দেওয়ার নাম করে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি এই একই অভিযোগ আসে পোর্ট ডিভিশনের আরও বেশ কিছু থেকে।

অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নামেন সাইবার সেল পোর্ট ডিভিশনের পুলিশকর্মীরা। লোনের নামে প্রতারণার পাশাপাশি টাওয়ার বসানোর নাম করেও এই চক্র প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল বলে খবর। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমে দুই জনকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর শনিবার চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। একই সঙ্গে জালিয়াতি মারফত ২০ লাখ টাকা প্রতারিত গ্রাহকদের ফেরত দেওয়া হয় বলে জানান পোর্ট ডিভিশনের ডিসি জাফর আজমল কিদওয়াই।

পুলিশ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে ওই চক্র বিভিন্ন মানুষকে ফোন করত লোনের বিষয়ে। লোন পাইয়ে দেওয়ার বদলে তাদের থেকে প্য়ান কার্ডের তথ্য চাইত এবং পরে সেই তথ্য দিয়ে আর্থিক প্রতারণা করত। আবার এও জানা গিয়েছে, অনেকের বাড়িতে মোবাইলের টাওয়ার বসানোর নাম করে ফোন করে বিভিন্ন তথ্য চাইত, কিছু টাকা ডিপোজিট করার জন্য বলা হত। এভাবেই বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই চক্রের বিরুদ্ধে।

শনিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই চক্রের ডেরায় হানা দেয় পুলিশ। হাতে নাতে পাকড়াও করা হয় চার অভিযুক্তকে। সরঞ্জামের কোনও অভাব ছিল না তাদের সঙ্গে। ১০৮টি মোবাইল, ২৭ হাজার টাকা নগদ, দুটি ল্যাপটপ, ৫০টি সিমকার্ড নিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসেছিল ওই চক্র। ধৃতদের আগামিকাল আদালতে পেশ করা হবে।

আরও পড়ুন : Exclusive Saumitra Khan: ‘নেতারা নিজেদের বস বলে মনে করেন’, বঙ্গ বিজেপির ‘গাফিলতি’ নিয়ে বিস্ফোরক সৌমিত্র