এসেছে ৪৬ লক্ষ সিরিঞ্জ, রাজ্যে টিকাকরণের প্রস্তুতি তুঙ্গে

সোমবার সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি রাজ্যে টিকাকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা। সেই বৈঠক শেষে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশ জানান, করোনা টিকার সরবরাহ প্রক্রিয়া নিয়ে কী ধরনের কাজ হচ্ছে সে বিষয়ে ধারণা দিতে এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল।

এসেছে ৪৬ লক্ষ সিরিঞ্জ, রাজ্যে টিকাকরণের প্রস্তুতি তুঙ্গে
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Dec 21, 2020 | 8:39 PM

কলকাতা: করোনা টিকা (Covid Vaccine) সরবরাহের প্রস্তুতিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রকে অবিলম্বে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের নথি জমা করতে বলল স্বাস্থ্য ভবন (West Bengal Health Department)। এদিকে টিকাকরণের প্রস্তুতির অঙ্গ হিসাবে বঙ্গের জন্য ৪৬ লক্ষ সিরিঞ্জ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

সোমবার সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি রাজ্যে টিকাকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা। সেই বৈঠক শেষে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশ জানান, করোনা টিকার সরবরাহ প্রক্রিয়া নিয়ে কী ধরনের কাজ হচ্ছে সে বিষয়ে ধারণা দিতে এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দলের মতো প্রথম সারির কর্মী এবং কো-মর্বিডিটি রয়েছে এমন পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তি-সহ ছ’লক্ষ প্রাপকের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। তবে সরকারি নথি পেতে অসুবিধা না হলেও বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রের সব নথি এখ‌ন‌ও পাওয়া যায়নি বলে জানান ওই আধিকারিক। তিনি বলেন, “জেলার বেসরকারি হাসপাতালগুলি থেকে তথ্য মিললেও কলকাতায় এখনও প্রায় ৩০ শতাংশ নথি পাওয়া বাকি রয়েছে। অনেকে বিষয়টি বুঝতে না পেরে তথ্য দেননি। তবে ইচ্ছাকৃত তথ্য দেননি সেরকম‌ও কেউ কেউ রয়েছে।”

আরও পড়ুন: ব্রিটেনের নতুন স্ট্রেইন রুখতে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি করছে কেন্দ্র

স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, ভ্যাকসিনের জন্য রাজ্যে ৯৪১টি কোল্ড-চেনের পরিকাঠামো রয়েছে। তবে টিকা প্রদানের কেন্দ্র ক’টি হবে তা এখনও নির্দিষ্ট হয়নি। এক আধিকারিকের কথায়, “কতজনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, তাঁরা কোথায় থাকেন তার উপরে টিকা প্রদানের কেন্দ্র কতগুলো হবে তা নির্ভর করছে।” ওই আধিকারিক জানান, বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রের সব নথি মিললে আনুমানিক সাড়ে ৬ লক্ষ ভ্যাকসিন প্রাপকের তথ্যপঞ্জি তৈরি হবে। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একাংশ জানান, প্রাথমিকভাবে কো-উইনের মাধ্যমে নথিভুক্ত ব্যক্তিরা কো-ভ্যাক্সিনের ডোজ‌ই পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে অন্য ভ্যাকসিনের ডোজ‌ও যে দেওয়া হতে পারে সে কথাও রাজ্যগুলিকে জানিয়েছে কেন্দ্র। সেক্ষেত্রে প্রথম ডোজ যে সংস্থার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, দ্বিতীয় ডোজ যাতে সেই সংস্থার‌ই হয়, তা রাজ্যগুলিকে নিশ্চিত করতে বলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

আরও পড়ুন: তৃণমূল আমার বউ চুরি করল, সুজাতা আমার কাছে মৃত: সৌমিত্র