Kidnapping Case: পর্তুগালের টোপ দিয়ে নেপালের যুবককে অপহরণ সল্টলেকে, ২ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করে কামাল দেখাল পুলিশ
Bidhannagar Police: উদ্ধার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম শক্তি খনাল। অপহরণে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম দেবজ্যোতি দাস ওরফে দেব এবং আকাশ মণ্ডল। দেবজ্যোতির বাড়ি সল্টলেকের নয়াপট্টিতে এবং আকাশ নদিয়ার বাসিন্দা।
কলকাতা: বুধবার সকালে নেপালের এক নাগরিককে অপহরণের অভিযোগ (Kidnapping Case) আসে বিধাননগর পুলিশের (Bidhannagar Police) কাছে। সেই অভিযোগ আসার পর দ্রুত পদক্ষেপ করে পুলিশ। দুই ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার করা হল অপহৃত ওই নেপালের নাগরিককে। উদ্ধার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম শক্তি খনাল। অপহরণে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম দেবজ্যোতি দাস ওরফে দেব এবং আকাশ মণ্ডল। দেবজ্যোতির বাড়ি সল্টলেকের নয়াপট্টিতে এবং আকাশ নদিয়ার বাসিন্দা। গ্রেফতারির পর আজই ওই দুই অভিযুক্তকে বারাসত আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানায় পুলিশ। আদলত অভিযুক্তদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছে।
পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, নেপাল কনসুলেটের মাধ্যমে সরোজ খনাল নামে নেপালের এক বাসিন্দা বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানান। জানা যাচ্ছে, সরোজ খনালের ভাই শক্তি খনাল গত ৩ জুন কলকাতায় এসেছিলেন। শহরে আসার পর, বাড়ির লোকজনের সঙ্গে ই-মেল মারফত যোগাযোগও হয়। পরিবারের লোকেদের জানিয়েছিলেন, তিনি চিনার পার্ক এলাকায় একটি গেস্ট হাউজ়ে উঠেছেন। কলকাতায় আসার পর তিনি কিছু সমস্যায় পড়েছেন বলেও পরিবারকে জানিয়েছিলেন। যদিও কী সমস্যায় পড়েছিলেন তিনি, সেই বিষয়টি খোলসা করেননি তিনি।
এরপর গতকাল অর্থাৎ ৬ জুন সরোজ খনালের মোবাইলে একটি হোয়াটসঅ্যাপ কল আসে অপরিচিত নম্বর থেকে। সরোজবাবুকে জানানো হয়, তাঁক ভাইকে অপহরণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মুক্তিপণ হিসেবে মোটা টাকাও দাবি করা হয়। অভিযোগ মোট ৩ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছিল। এরপরই কী করবেন বুঝতে না পেরে, নেপাল দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সরোজ খনাল। দূতাবাসের সাহায্যে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানান তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, সেই অভিযোগ পাওয়ার পরই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। গোয়েন্দা দফতরের অফিসারদের নিয়ে একটি বিশেষ দলও গঠন করা হয়। কে বা কারা ওই ব্যক্তিকে অপহরণ করেছে, সেই খোঁজ শুরু করে পুলিশ। অপহৃতকে কোথায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে শুরু করেন তদন্তকারী অফিসাররা। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মুক্তিপণের টাকা একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে পাঠাতে বলা হয়েছিল। সেই সূত্র ধরে খোঁজ শুরু করে পুলিশ। একইসঙ্গে যে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে ফোন গিয়েছিল অভিযোগকারীর কাছে, সেই নম্বরের লোকেশন ট্র্যাক করারও চেষ্টা করেন তদন্তকারী পুলিশকর্মীরা।
সেই সূত্র ধরে তদন্ত চালাতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, যে অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে বলা হয়েছিল এবং ওই হোয়াটসঅ্যাপ কলের নম্বরের লোকেশন… দুটিই সল্টলেক উত্তর থানা এলাকায়। সেই মতো একটি জায়গাকে চিহ্নিতও করেন পুলিশকর্মীরা এবং সেখানে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের সেই অতর্কিত অভিযান থেকেই উদ্ধার করা হয় শক্তি খনাল নামে ওই নেপালি নাগরিককে।
এদিকে প্রাথমিকভাবে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, অপহৃত শক্তি অভিযুক্ত দেবজ্যোতি ওরফে দেবকে আগে থেকে চিনত। শক্তিকে পর্তুগালের ভিসা পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। যদিও কী কারণে এই অপহরণ, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।