
কলকাতা: নিরাপত্তারক্ষীদের কড়া নজরদারি। তার মধ্যেও সবার নজর এড়িয়ে নবান্নের চোদ্দ তলায় পৌঁছে গেলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। এই ১৪ তলাতেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। সবার নজর এড়িয়ে ওই যুবক কীভাবে চোদ্দ তলায় পৌঁছে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে নবান্নে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও। ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমে আটক করা হয়। তারপর শিবপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে ১৪ তলায় ওই যুবককে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে। নিরাপত্তার জন্য নবান্নের চোদ্দ তলায় কর্মীদেরও গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তাছাড়া ১৩ ও ১৪ তলায় কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী অর্থাৎ ডিরেক্টর অব সিকিউরিটির অধীনে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা পাহারায় থাকেন। সেখানে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার কীভাবে পৌঁছে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
সূত্রের খবর, নর্থ গেট দিয়ে ওই যুবক নবান্নে ঢোকেন। নর্থ গেট দিয়ে অনেক সময়ই সিভিক ভলান্টিয়াররা জল নিতে ভেতরে ঢোকেন। ওই যুবকও তেমনই জল নিতে ভেতরে ঢুকছেন বলে মনে করেছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
নবান্নের ভেতরে ঢোকার পর লিফটে চড়ে সোজা ১৪ তলায় পৌঁছে যান তিনি। সূত্রের খবর, ১৪ তলায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁকে ঘোরাফেরা করতে দেখে কলকাতা পুলিশের রিজার্ভ ফোর্সের এক পুলিশকর্মী প্রশ্ন করেন। যুবক জানান, তাঁর বাড়ি তমলুকে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান। তাঁর পরনে সিভিক ভলান্টিয়ারের পোশাক ছিল। রিজার্ভ ফোর্সের ওই পুলিশকর্মী বিষয়টি ডিরেক্টর অব সিকিউরিটিকে জানান। যুবকের কথাবার্তা অসংলগ্ন ঠেকায় তাঁকে আটক করে পুলিশ। পরে শিবপুর থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়। কীভাবে তিনি একেবারে চোদ্দ তলায় পৌঁছে গেলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।