SFI-TMCP সংঘর্ষে তপ্ত আলিয়ার ক্যাম্পাস, আহত ৩, অব্যাহত রাজনীতির কাদা ছোড়াছুড়ি
Chaos in Aliah University: এসএফআই-এর তরফ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রবেশ দ্বারের সামনে তাদের একটি ব্যানার লাগানো ছিল এবং সেটি ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। তাদের অভিযোগ মূলত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী ও সমর্থকদের দিকে। সেই অভিযোগ নিয়েই এসএফআই-এর কর্মী ও সমর্থকরা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের লাগানো ব্যানার ছিঁড়তে শুরু করে।
কলকাতা: শুক্রবার সন্ধেয় দুই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষে তপ্ত আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এসএফআই ও টিএমসিপির মধ্যে। ধস্তাধস্তি ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে এসএফআই ও টিএমসিপির আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট। সংঘর্ষে দু’পক্ষের মোট তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
ঘটনার সূত্রপাত, শুক্রবার বিকেল থেকেই। ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় চারটে। এসএফআই-এর তরফ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রবেশ দ্বারের সামনে তাদের একটি ব্যানার লাগানো ছিল এবং সেটি ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। তাদের অভিযোগ মূলত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী ও সমর্থকদের দিকে। সেই অভিযোগ নিয়েই এসএফআই-এর কর্মী ও সমর্থকরা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের লাগানো ব্যানার ছিঁড়তে শুরু করে। আর তা নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। প্রথমে বচসা, ধস্তাধস্তি শুরু হয় এসএফআই ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকদের মধ্যে এবং পরবর্তীতে তা মারপিট ও হাতাহাতির আকার নেয়।
গতসন্ধের গোলমালে দু’পক্ষের মোট তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। আহতদের মধ্যে একজন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থক ও বাকি দু’জন এসএফআই-এর সমর্থক বলে খবর। আহত এক এসএফআই কর্মীর বক্তব্য, ‘আমরা নিজেদের পয়সা খরচ করে ফ্ল্যাগ লাগাই। এর আগেও লাগিয়েছিলাম। তখনও সেগুলি ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও কাজের কাজ হয়নি। এরপর নতুন করে ফ্ল্যাগ লাগানো হয়েছিল। এরই মধ্যে দিনেদুপুরে আমাদের ফ্ল্যাগ ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।’
এসএফআই-এর বক্তব্য, তাদের সন্দেহ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে এবং সেই কারণে তারাও পাল্টা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পতাকা ছেঁড়ার চেষ্টা করে। তখন টব ও অন্যান্য জিনিসপত্র দিয়ে তাদের কর্মী ও সমর্থকদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বক্তব্য়, মারপিট কিছুই হয়নি, শুধু ধস্তাধস্তি হয়েছে। টিএমসিপি বলছে, এসএফআই-এর সমর্থকরা তাদের এক সমর্থকের সঙ্গে প্রথমে ঝামেলা শুরু করে। এরপরই তৃৃণমূল ছাত্র পরিষদের বাকিদের সঙ্গেও ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়।